কুয়াশা চাদরে মোড়া আজি এ সকাল
ধোঁয়াচ্ছন্ন,রাস্তাঘাট কেমন অচেনা;
কাটে না যে আর শীতের সময়কাল
মাত্র কার্ত্তিক এখনি তার আনাগোনা।


গ্রামে গঞ্জে কৃষাণদের হৈ চৈ কলরব
কাজ নেই,প্রহর কাটে গল্পে গল্পে;
সর্বত্র বিরাজ পিঠা খাওয়ার উৎসব
কেটে যায় বেলা হাস্যরসে আলাপে।


খেজুরের রস,গরম গরম ভাপা
রসে ডুবানো চিতই আরো পাটি শাপ্টা;
পুলি পিঠা,খাবে কি,শরীরে যে কাঁপা
বসে তাই সবি,চুলোর চারিপাশটা।


নাড়ার আগুন পোহায় ছেলে বুড়ো
ততক্ষনে মিঠি মিঠি রোদ দেয় উঁকি;
কুয়াশার হিমেল ছায়া পালাতে শুরু
তবু মায়েরা শিশুদের রাখেন ঢাকি।


যারা তবে বড়,পরে সোয়েটার শাল
গরম কফি হাতে,শুধু আড্ডারই ধুম;
এই তো আমাদের বাংলার শীতকাল
যারা ছোট,গরীব তাদের নেই ঘুম।


এবার শীত তুমি,হয়ো প্রিয় সবার
শীতের কষ্টে যাদের মুখে নেই হাসি;
দিয়ো সোনালী রোদ চাদর উপহার
গেয়ো তাদের হৃদে রোদেলা সুর বাঁশী।