ঘুমের ঘোরে কানে বাজে
গ্রামের সেই ছোট্ট কুটিরে-
টিনের ছাউনি তে ঝরে পড়া
টিপটাপ শিশির ঝরার আওয়াজ।


অলস সকালে নিস্তব্ধ নিরব চারিপাশ।
গগনের পানে চাহিয়া দেখি ঘোর কালো শিশির কণার দখলে।
বাড়ির উঠানের পানে তাকালে কিছু নাহি মিলে,
চোখে পড়ে শুধু ছোট বোনের লাগানো কোমল দূর্বা ঘাষ।


শির শিরে পবনের জোরে উঁকি দেয় সূর্যি মামা
দূর অজানায় ওই পূব আকাশের কোনে।
চিক চিক করে শিশির বিন্দু,
ঝরে খোলা আকাশের নীচে সবুজ তৃণর ওপর।


কলস হাতে গাছি ভাই ছুটে চলে-
দূর দূরন্তে খেজুর গাছের পানে।
মায়ের বকুনিতে ছোট্ট মেয়েটি-
চুপটি করে বসে রয়েছে ঘরের এক কোণে।


গলায় পেঁচানো কাপড়ের ঘেরানী
পায়ে মোজা, কানে টুপি  হস্তে সবার রহিয়াছে মুড়ি মুড়কির বাটি।
গাছি ভাই পাড়ে রস শীতের ডোরায়
সারি হয়ে বসে রহিয়াছে সবাই খড়ের গাদায়।
মনে পড়ে আজো সেই শৈশবের শীতের সকাল।



২২শে নভেম্বর ২০১৮
    ভোর ৪টা
রসুলপুর,বাংলাদেশ।