মুরগি খেয়ে পেট ফুলায়ে শিয়াল বলে, “ইন্দুর
নিজের জীবন করতে রঙিন
লোকের বুকে বিন্ধাবি পিন
খেতের ফসল ফেলবি খেয়ে – জানিস এমন দিন দূর।
দেখে আধার ঘুটঘুট
কেটেই যাবি কুটকুট
দাম দিতে আর শিখলিনারে লোকের অশ্রুবিন্দুর!”


ইঁদুর বলে, “শিয়াল
গাইবি না আর খিয়াল
লোকের মুরগি করলি চুরি…
এখন দেখাস বাহাদুরি!
পাল্টা আগে নিজের স্বভাব
না-হয় পরে সাজিস নবাব
জারিজুরি বন্ধ;
নিজের গতর সাফ রেখে তুই
খুঁজিস পরের গন্ধ।


তুই তো দেখি আমার মাঝেই চিরটাকাল পাস ছুতো
নিজের চরকা খসখসে
অন্যরে তেল যাস ঘসে
পরের গায়ে থুথু ফেলে ক্যান যে মিছে খাস গুঁতো!
আসিস না আর ঘাটতে
আপন আপন স্বার্থে
সবাই জানে চোরে চোরে ভাই হয়ে যায় মাসতুতো”।


শিয়াল বলে, “ দোস্ত –
তুই কেটে খা কাটুর কুটুর
আমি চাটি গোস্ত
থাকবো দুজন সুস্থ্য”।


আহহারে কী পরিপাটি!
কাটাকাটি…
চাটাচাটি…
বলছো কিছু – জীবন মাটি।


যশোর ৪.৪.১৯
(বন্ধুরা একটু খিচুরি বানালাম, রমুছাচেঁর সাথে ঐতিহ্যগত পদ্য।
এদিকটা ভেবে একটু ইশারার প্রত্যাশা করি)