দূরের কালো পাহাড়ের গায়ে সূর্য উদিত হলো ,
জংলী ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ভরা বাতাসে মাতাল প্রকৃতি।
সূর্যাস্তের লালিমায় রাঙা বৌয়ের রঙে সাজা আকাশটাকে ,
তুমুল চুম্বনের ঝড় তুলে হরণ করছে কোন দুরন্ত প্রেমিক ।
শিশির ভেজা ঘাসের ডগাটি খোলা তলোয়ারের মতন মুখিয়ে আছে
শেষ বিরহের সুতো কাটতে ।
হৃদি ক্লান্ত পায়ে ঘোর লাগা চোখে হেঁটে চলেছে ,
রংধনুর সাতটি রঙে রাঙা তার আভরণ।
গাছের উঁচু ডালটি মাথা নুইয়ে যেন অভিবাদন জানায় ।
নিঃশব্দে বয়ে যাওয়া নদীটিও ফিসফিস করে
করুণ লয়ে গাইছে পাড় ভাঙ্গার গান ।
কি পেলো ? কি হারালো ?
কার চোখের কাজল হতে গিয়ে শুধুই আঁচল পেতে
সুখের মোড়কে দুঃখ কুড়ালো।
মেহেদীর লাল রঙে কার গেরস্থালীর ভাড়ার পুড়লো ;
কে খবর রাখে তার ?
কে আর দিনের আলোয় পরম মমতায় কুয়াশা মাখা শিশির কুড়োয় ।
চারপাশে ছড়ানো সারি সারি ঘর ,
কিছু জানালা বিহীন আবার কোনোটায় শুধুই হা করা গরাদটানা জানালা ।
সেই গরাদের ফাঁক গলে এক টুকরো রোদের জিলাপী
এদিক ওদিক ছুটতে গিয়ে শূন্য ঘরেই হোঁচট খেলো ।
সু্রের মায়ায় আটকে পড়া আর্ত চিৎকার গুলোকে
পেছনে মাড়িয়ে শুধুই ভেসে চলার দিন আজ ।
বিপুল প্রানের আলিঙ্গনে, ওম ওম সুখ গায়ে জড়িয়ে পাড়া বেড়ানোর দিন।
হৃদির আজ নতুন ভোরের নরম আলোতে লতিয়ে ওঠার দিন ।