দূরভাষে তোমার  প্রশ্ন--
'শীতের ডাকে কেন এলেনা?
তোমার প্রতীক্ষায়.....এপার-ওপার।'
ভালবাসার সুতোয় টান পড়লে টনক নড়ে--
তাই এ প্রত্যুত্তর :-
সেই শীত-সন্ধানী দৃষ্টি আজ আর নেই,
কবিতার কলম নির্বাক,কল্পনার কপাট বন্ধ।
চির বসন্ত'র দেশে--
শীতের আভাস মেলে শুধু, হদিশ মেলে না।
নলেন গুড়ের বরফি,মোয়া--
ঘরে ঘরে পিঠে-পুলি;
বিচিত্র বিশ্বপাখি সমাগম চিড়িয়াঘরে,
ময়দানে বইমেলায় হারিয়ে যাওয়া সেদিন
শুধু ডাক দিয়ে যায় নিঃশব্দ নীলিমায়,
পদ্মা-গঙ্গার এপার-ওপার।
ওপারের কাটা ঘুড়িটা যখন মায়ার টানে
ছিঁড়ে এল এপারে---
আমি বুকে তুলে নিয়েছিলাম,স্বজন ভেবেই।
একটা সুতো-ভরা লাটাই
আর রঙিন ঘুড়ি দিতে চেয়েছিলাম
হিমশীতল ফুটপাথে দীর্ঘ রাতজাগা,
ক্ষুধার্ত, ছেঁড়া-ময়লা পোশাকের
রুগ্ন ছেলেটাকে।
প্রকৃতির কী নিষ্ঠুর পরিহাস!
স্বেচ্ছা-নির্বাসন---
নিয়মের ফাঁদে বন্দী আমি।
সময়ের সাথে শীত আজও আসে
দুর্ভেদ্য হিমালয় পেরিয়ে--
আসে তার দুঃসহ প্রবাহ!
যদি পারো,এই হাড়-কাঁপানো শীতে
সেই ছেলেটিকে খুঁজে নিও,
অজানা,অচেনা কোনও এক পথের ধারে--
তাহলেই পাওয়া হবে আমাকে।।
..........ভাল থেকো!!