‘বাঙাল’ কে আর ‘বাঙালি’ কে?
(আমি) এখনই জানতে  চাই।
জন্ম থেকে আজ অবধি,
বুঝতে পারিনি ভাই।।


ঢাকা, বরিশাল, খুলনাবাসীকে
‘বাঙাল’ বলবো কেন?।
হুগলি, নদিয়া, কলকাতাবাসী
‘বাঙালি’ হবে কেন?।।


ভাষার জন্য ব্যবধান যদি,
‘নোয়াখালিবাসী’ কী?।
ভাষার জন্য অভিমান যদি,
গেঁয়োখালিবাসী কী?।।


আবার শুনেছি ‘ঘটি’ ও ‘বাঙাল’,
সীমান্তে দেখা হলো।
ঘটি ও বাঙাল বিয়ে হ’লে বলে,
এই বুঝি জাত গেলো।।


একজন বলে ‘বাঙাল’ অর্থে
বীর পুরুষের ভাব।
সূর্যসেনের মতো বীরের
এদেশে  বড় অভাব।।


শুনে হেসে কয়, কলকাতাবাসী
‘ওরে ও বীর বাঙাল।
ঘটি-বাঙালি নেতাজীকে ভেবে
হ’সনে বদ্-বেহাল’।।


বাঙাল-বাঙালি ভিন্ন ভেবেই,
জাতির সর্বনাশ।
সীমান্ত হ’ল কলঙ্করেখা,
মানুষের হা-হুতাশ।।


মুর্খতারই দাম দিতে ভাই,
ছেড়েছি জন্মভূমি।
শুদ্ধ হোক, পবিত্র হোক,
বাংলার মনোভূমি।।