আমার মেয়ের নাম রেখেছিলাম 'পাখি'--
কখনো ওকে 'পাখিদের বন্ধু' বলতাম।
প্রতিদিন ভোরের পাখির সাথে
ওর ঘুম ভাঙতো।
আমার বাড়ির বাগানে পাখিদের
আনাগোনায় ও খুব খুশি হ'ত।
পাখিরা যে ওর বন্ধু, বুঝেছিলাম--
যখন আমার ছোট দুলাভাই
হাওয়া-বন্দুকে একটি পাখিকে মারল।
মেয়ের সে কী কান্না! থামানো যায় না।
তারপর দীর্ঘ একুশ বছর পেরিয়ে এসেছি
চিড়িয়াখানা দেখতে আজ হায়দ্রাবাদে।
আমার পাখি এখন বড় হয়েছে,
বানিজ্যিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রির
শেষ সীমানায়।
স্পষ্ট ভাষায় বলল-- সে একদিন
পাব্লিক লিটিগেশন ফাইল করবে
পাখিদের এই জেলখানার বিরূদ্ধে।
ওর সমস্ত পাখি-বন্ধুদের মুক্তি চাই,
ওদের জন্য আলো চাই, বাতাস চাই,
মুক্তির আনন্দে ওড়ার আকাশ চাই,
সবুজের মাঝে নিজেদের বাসা চাই।
আর চাই-- তাদের কন্ঠের সুমধুর কল-কাকলী।।