​শ্যামল বরণ মেয়েটি
গোলমুখে টোল পড়া গাল
ইচ্ছে হয় শ্যামলিমা বলে ডাকি,
অথবা যদি আপত্তি করে তবে শ্যামা।
নাকের একপাশে গাঢ় তিল খানি
অনিন্দ্য সুন্দর।
দুচোখে বিস্ময় অথবা মায়া
কি যেনো এক গভীর টান তাড়িত করে
হয়ত স্বপ্ন অথবা না পাঁওয়ার ব্যার্থতা।
কখনও কখনও তার চোখে প্রেম দেখি
জিজ্ঞেস করলে বলে, তাই নাকি
কি করে বোঝাই তারে
ওই চোখে গোধূলি খেলা করে।


সে হাসতে ভালোবাসে
শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে
খালি পায়ে হাঁটতে ভালোবাসে
দিগন্ত জোড়া মাঠে চায় দৌড়ে যেতে
অনেক টা পথ, অথবা সময়।
গোধূলি রাঙা সন্ধ্যায় যখন সে দাড়ায় এসে
ছাদের কার্নিশে ফাল্গুনী বাতাস
ওর শুভ্র চুলে দোল দিয়ে যায়
কি জানি কি বারতা বোঝে সে
মুখ টিপে বলে সে : যাহ।


মেদহীন ছিপছিপে গড়নের সেই মেয়েটি
সারাদিনের ক্লান্তি ভেঙে যখন আয়নায় তাকায়
নিজেকে দেখে অপলক;
নিজের চোখ গুলোকে দেখে আর ভাবে
জানালার ওপাশে যে সুনীল আকাশ
কখনো কি ছুঁতে পারবো?
কখনো কি পারবো দিগন্ত জোড়া খোলা মাঠে
উত্তর মেলে না শুধু চেয়ে দেখে
হাসেরা উরে যায় দিগন্তে ।


রাত নামে যখন একা বিছানায় শুয়ে
দেয়ালের ভাজে ভাজে নিজেকে খোজে,
এইযে সমস্ত দিনের কর্ম,
চাঁপা কষ্টের আড়ালে হাসির কৌতুক
কেন এই অভিনয়!
শ্যামা চোখ বুজে দেখে স্বপ্নের প্রাসাদ
যেখানে সিংহাসনে তার রাজকুমার,
কখনও ভোর রাতে ভয় পেয়ে জেগে উঠে
কখনও কাদে কখন রাত্রি জেগে থাকে।


এ আমার শ্যামা
যাকে ইচ্ছে ছুয়ে দেখি, অনুভব করি
হৃদয়ের গহীনে কি শুন্যতা নিয়ে
বেঁচে আছে।