বেশ বড় ছিল মানুষটা।
ব্যক্তিত্ব , আভিজাত্য , মানবিকতায় মোড়া
এক পূর্ণাঙ্গ পুরুষ।


চোখে চোখ রেখে কথা বলতে সাহস পেতো না কাছেরজনেরা,
পরম শত্রুও চোখ নামিয়ে নিত সম্ভ্রমে।


অফিস থেকে বেরিয়েই
হঠাৎ অনেক ছোট হয়ে যায় মানুষটা।


বিকালের পড়ন্ত আলোয় নামে আকাল অন্ধকার ।
উঁচু মাথাটা হয় ঘাসের প্রতিবেশী।


বাড়ি ফিরেই নিটোল অভিনয়,
শুধু কষ্টগুলো লুকিয়ে থাকে বুকের খাঁচায়।


দেশ জুড়ে বেজে চলেছে বিরতির ঘন্টা ,
তালা ঝুলছে অফিসে।
উৎপাদনে ব্যঘাত।
করোনার সাথে বাড়ছে খালি পেট, অবসাদ, আত্মহত্যা।


কর্ম ছাড়া, লক্ষ্মীছাড়া মানুষটার বেলা কাটে
নতুন মন্দিরের খোঁজে ;
কখনোবা পার্কের ফাঁকা বেঞ্চে।


অসহায় দৃষ্টি ভাসে আকাশের নীলে।
নিঃশব্দ উচ্চারণে
মানুষটা খোঁজে পার্থক্যের সুখ,
সান্ত্বনার ভাইরাস কিংবা দুর্ঘটনার আশীষ।