কাদম্বরী,
আমি ছিলাম তোমার বয়ে চলা সময়ের ভেতর ;
তরতরে কিশোরী নদীর মতো বয়েছিলে অনির্দিষ্ট গন্তব্যে
রবি বাবু আর তুমি যে মঞ্চে অভিনয় করতে
ওই আসরে আমি ছিলাম নীরব দর্শক
তোমার প্রফুল্ল বিষণ্ম আলো আঁধারি মন
তখনো নির্ণয় করতে পারিনি
ঠাকুর বাড়ির ছাদে তোমার হাতে গড়া নন্দন কানন
কাননের প্রতিটি ফুলের হাসি মুখ দেখেছি
গানের আসরে রবি বাবুর চড়া সুরের গান শুনেছি
সেই গান ফোটা ফুল আর তোমার মুখ
কেমন যেন দুর্বোধ্য দেখাছিল
এবার আমি বুঝতে পেরেছিলাম
তোমার অন্তর্লোকে খেলা করছিল বিপন্ন বিস্ময়
তোমার অবাধ্য ইচ্ছেগুলো হাসফাস করছিল
ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহলে
কারা যেন গেঁথে দিয়েছিল তোমার মুক্ত মনোভূমে
কণ্টকময় দেয়াল


অতঃপর
আজও দেখি রবীন্দ্রনাথের বিষ্ফারিত চোখ
ওচোখের পটে পটে আঁকা কাদম্বরীর শোক