তোমার চারপাশে মৃতদেহের স্তূপ,
একটু একটু করে ছিঁড়ে খায়
শিয়াল কুকুর; শকুনে ঠুকরে নেয় চোখ।
পঁচাগলা লাশ মাড়িয়ে যেতে হবে,
বিষাক্ত গন্ধে বুক ভরে যাবে,
পেট পাকিয়ে বমি করবে কারো ভাঙ্গা খূলীতে।।


হায়নার দল শান্ দিচ্ছে ধারালো নখ,
তোমার নিঃসঙ্গ যাত্রার অসতর্ক মুহূর্তের প্রতিক্ষায়।
অবশ্রান্ত শরীরগুলো দুলে চলেছে,
বোবা চিৎকারের গোঙানির মূর্ছনায় ।।


তবুও হাল ছেড়ো না,
চাপা গোঙানিগুলো চিৎকার হয়ে ফুটবেই,
তাদের হিসাব তাঁরাই বুঝে নেবে।
বর্ষার আশা ছেড়ো না,
সব গ্লানি ধুয়ে পঁচা স্তূপে মুখ গুঁজে
পাবে খুঁজে নতুন জীবনের ছোঁওয়া।।


শিয়াল কুকুর ঠেঙিয়ে তুমি পারবে না।
আশেপাশের মুখগুলো আস্তে আস্তে লম্বাটে
নয়ত ভোঁতা হয়ে যাবে;
তুমি যতই লাঠি ঘোরাও,
ঘোৎঘোতানি থামাতে পারবে না।।


পারলে গোঙাতে নয়,
চেঁচাতে শেখাও,
যেন সমবেত চিল চিৎকারে খসে পড়ে হায়নার নখ,
কুঁকড়ে যায় লেজ, খসে পড়ে চঞ্চু, হতাশার শখ.
তখনই হয়ত বৃষ্টি নামবে,
নয়ত সুদীর্ঘ অপেক্ষা চলতেই থাকবে।।