দুঃস্বপনে নিশি ক্ষণে
একলা জেগে উঠি,
নয়ন ধারা বক্ষে সারা
খাচ্ছে লুটোপুটি|
কে যেনগো নিচ্ছে কেড়ে
তোমায় প্রিয়তমা!
শূন্য করে হৃদয় ঘরে
সকল সুখের জমা|
নিথর দেহ নয়ন-গেহ
বন্ধ তোমার প্রিয়া!
গভীর ঘুমে মগ্ন তুমি
নাকে তুলো দিয়া|
চার বেহারা রয়েছে খাড়া
পালকি নিয়ে দ্বারে,
পূর্ণ বাড়ি আহাজারি
বাজছে শোকের তারে|
হঠাত্‍ দেখি যাচ্ছ একি
আমায় ছেড়ে তুমি,
কোন সে গেহে শান্ত দেহে
কোন সে গাঁয়ের ভূমি?|
চোখের জলে বুকের তলে
বইছে যেন নদী,
সুখ হলো মোর অন্ধ-কারায়
বন্দি নিরবধি|
চকিতে মোর ঘুমের সে ঘোর
কাটলো চেতন-ঘাতে,
সে দুঃস্বপন ভাঙ্গলো ভীষণ
ভয় ভরা যার গা তে|
আর যে কান্না বাধ মানেনা
দুই নয়নের কায়া,
ভিজছে শুধুই ভিজছে জলে
যেন শ্রাবন ছায়া|
হাত বাড়িয়ে দেখি পাশে
ঘুমিয়ে আছ তুমি,
তোমায় দেখে হর্ষ মেখে
নাচলো মনের ভূমি|
দুঃখ ব্যাথা কষ্ট-গাঁথা
হইলোযে তাই শেষ,
দুঃস্বপনের সূর্য হলো
অস্ত নিরুদ্দেশ|