¤¤¤¤¤শীত¤¤¤¤¤
কুয়াশার মশারীটা টানিয়ে
এ শীত,
নিসর্গে গেয়ে উঠে আগমনী
গীত|
সে আসিলে গাছে গাছে মরা
পাতা ঝরে,
প্রাতে ঘন কুয়াশাতে পথ
ঢাকা পড়ে|
ভোরে তার কুয়াশার ভেদী
আস্তরণ,
রূপালী আলোকে হয় উদিত
তপন|
গাছপালা,বাড়িঘর,পথ-
প্রান্তর,
জেগে উঠে ঝলমলে করি
সন্তর|
শীতের প্রভাতে খেতে খেজুরের
রস,
ভারি মজা খেতে তাই তার এত
যশ|
এঋতুতে ফোটে গাঁদা,
সূর্যমুখী,
কমলা লেবুতে ভরে কমলার
শাখী|
শীতের প্রকোপে শিশু,যুবা,
বুড়ো,বুড়ি,
থরথর কাঁপে দিয়ে চাদরের
মুড়ি|
¤¤¤¤¤বসন্ত¤¤¤¤¤
শৈত্যের পরে আসে বসন্ত
কাল,
নতুন পাতায় সাজে শিখরীর
ডাল|
সে আসে বিজয়ী বেশে মহুয়ার
মালা,
গলে পরে, হাতে নিয়ে কৃষ্ণচূড়া
ডালা|
তাহার পরশে ভবে
শিহরণ জাগে,
শীত ক্লান্ত ধরা নাচে স্বস্তির রাগে|
দখিনা বাতাস বয় ভরে যায় মন,
শিমুল,পলাশে ভরে প্রসুন গহন|
আম গাছে উকি দেয় আমের মুকুল,
প্রজাপতি,মৌমাছি চষে ফিরে ফুল|
বনে বনে গান করে কোকিল বিহগ,
এযেন ধরার বুকে রুপের স্বরগ|
ছয়টি ঋতুর সাজে সাজানো এ
দেশ,
বহুতি এ রূপ তার যা
অনিঃশ্বেষ|
__________________শেষ|