সবুজ-চাদর জড়ানো এ মোর
ছোট্ট সোনার গাঁও,
একপাশে তার বহিছে নাগর
বুক জুড়ে শত নাও|
জন্মেছি আমি এ স্বর্গ ভূমি
এখানেই ফের থাকি,
মাটির ছোট্ট কুড়ে ঘরে বসে
সুখের স্বপ্ন আঁকি|
দক্ষিনে তার মেঠো পথটার
কোল ঘেষে আছে এক,
ফসলের মাঠ সবুজ ভরাট
দেখ্ সখা চেয়ে দেখ্|
পাখিদের গানে নিত্য বিহানে
মেঠো পথখানি ধরে,
নিয়ে গরু হাল, লাঙ্গল জোয়াল
ঝুলিয়ে কাঁধের পরে|
মুড়ি খেতে খেতে ছুটে আসি ক্ষেতে
খাওয়া শেষ হলে তাই,
ঐ বটতলে সরকারি কলে
পেটভরে পানি খাই|
এসে তারপরে ক্ষেতের উপরে
গরু দিয়ে জুড়ি হাল,
বাধিয়া মাজায় গামছা, মাথায়
দিয়ে মাতুলের চাল|
লাঙ্গলের ঘায়ে জমীনের কায়ে
সৃষ্টি করিয়া ক্ষত,
পায়ে ফেলি ঘাম রোদে পুড়ে চাম
চাষ করি অবিরত|
তারপরে যবে এ শরীর ভবে
অবসাদ পড়ে ঢলে,
হাল ছেড়ে দিয়ে বসি একা গিয়ে
ঐ বুড়ো বটতলে|
বটের ছায়াতে ঝিরিঝিরি বাতে
শরীর জুড়িয়ে যায়,
নয়নের দেশে ঘুম পরী এসে
নেচে নেচে গান গায়|
তবু না ঘুমিয়ে একটু জিরিয়ে
খাওয়া দাওয়া করি শেষ,
ফিরে আসি ফের ক্ষেতে, নিয়ে ঢের
শরীরে শক্তি বেশ|
সারাদিন খেটে সন্ধ্যায় যবে
ফিরি আপনার ঘরে,
মাটির ফরাশে শুইলে হরষে
ঘুম নামে চোখ ভরে|
স্বপনের মাঝে বধুয়ার সাজে
একজন করে খেলা,
তারে নিয়ে আমি দুর নীল ভূমি
ভাসাই প্রেমের ভেলা|
কত কথা কই নীরবেযে ঐ
স্বপন-বধুর সাথে,
এমনই সুখের স্বপ্ন সুরেই
রাত চলে যায় প্রাতে|
কভুকি টাকায় বলো পাওয়া যায়?
এমন সুখের ঘুম,
কিন্তু আমায় নিতি দিয়ে যায়
সে এসে সুখের চুম|
একদিন খাটি একদিন খাই
আমি বড় মহাসুখী,
কুঁড়ে ঘর মাঝে বাস করি বলে
নইতো কখনো দুখী|