রাজধানী হতে শত ক্রোশ দুরে
আছে ছোট এক গ্রাম,
সবুজের খামে মোড়ানো সে গাঁর
তমালবিথী যে নাম|
সেই গ্রামে বাস করতেন এক
মহাপন্ডিত জন,
সকলেই তাকে পন্ডিত নামে
করিতো সম্মোধন|
পন্ডিত হলেও ছিলেন যে তিনি
একদমই মনভুলো,
কখনোই তার থাকতনা মনে
পূর্বের কথাগুলো|
উদ্ভট সব বিষয় লইয়া
ভাবিতেন সদা তিনি,
মাথায় যে তার ফাকা ছিল ফের
চুলের অবন্যানী|
ভাবিতেন ভবে নানান রঙের
মানুষ জন্মে কেন?
গাছপালা,পাখ পাখালী,জন্তু
কেনবা আলাদা হেন?|
নদী-জল ফের ঘন বরষায়
একই দিকে কেন যায়?
শুধু শুধু কেন পাহাড়ের শ্রেণী
দাড়ি থাকে একঠায়?|
খিধে কেন পায় ভাবেন সদায়
না পেলেই ভাল হত,
আম কেন এত মিষ্টি কিন্তু
নিমটা আবার তেতো?|
ধান গাছ কেন এত ছোট হয়
বড় কেন বটগাছ?
জঙ্গলে থাকে বাঘ ভালুকেরা
জলেতে কেনবা মাছ?|
বটফল কেন খায়না মানুষ
কি আছে কারণ তার?
বটগাছে ধান ধরলে তো হয়
মানুষের উপকার|
সারাটি বছর কুড়িয়ে সে ধান
দুস্থ মানুষ সবে,
মেটাতো অভাব ক্ষুধার জ্বালাটা
থাকতনা আর ভবে|
এমনই চিন্তা করিতেন তিনি
বসে বসে সারাক্ষণ,
খাবার কথাও ভুলে যান প্রায়ই
থাকেনা তার স্মরণ|
এমনই করেই দিন কেটে যায়
রাত হয়ে যায় পার,
মন ভালো নেই সে পন্ডিতের
মনে বড় দুখ তার|
আপন গাঁয়ের লোক ছাড়া কেউ
জানেনা যে তার নাম,
এই দুঃখই মন মাঝে তার
বয়ে চলে অবিরাম|
..........................(চলবে)