একটানা হেঁটে চলছেন বুড়ো
নদীর কিনার ধরে,
কোনদিকে তার নেইতো খেয়াল
এমনি মগ্ন ভরে|
সুর করে করে গাইছেন মুখে
মৃদু স্বরে কিছু গান,
টপ টপ করে পড়িতেছে ঝরে
ঘাম যেন অফুরান|
আধাবেলা ধরে হেঁটে হেঁটে তিনি
থামিলেন অবশেষে,
জিরেয়ে নেয়ার জন্যে একটা
গাছের ছায়ায় এসে|
কিছুদুর চেয়ে দেখিলেন বুড়ো
গাছের মাথায় টুপি,
বোকারাম বুঝি এদেশের সবে
হাসিলেন চুপি চুপি|
বুড়ো কয় একি! পরপর আমি
দেখিনু দু দিন ধরে,
টুপি দিয়ে রাখে গাছের মাথায়
জানিনা কিসের তরে?|
একটু জিরিয়ে বুড়োটা আবার
ধরলেন পথ হাঁটা,
বিশ্রামে যেন পূর্ণ শক্তি
ফিরে পেল তার গা'টা|
চলছেন বুড়ো শহরের দিকে
হাতে লাঠি পিঠে ঝোলা,
দুপুর গড়িয়ে এসেছে তখন
স্নিগ্ধ বিকেল বেলা|
বাড়িঘর আর মানুষ দেখিয়া
মাঠের প্রান্ত শেষে,
ভাবলেন তিনি পৌছে গেছেন
হয়তো শহরে এসে|
অনেক আগেই এসেছেন ভেবে
বুড়োটার মুখে হাসি,
ঠিক তক্ষুণি একজন তারে
সালাম করিলো আসি|
মনে মনে বুড়ো ভাবলেন খুব
ভাল এ দেশের লোক,
সম্মান করে পরিচিত আর
অপরিচিতই হোক|
ধানক্ষেত আর বাগান দেখিয়া
অবাক হলেন তিনি,
তমালবিথীর মতই হুবহু
কেনযে এ রাজধানী?|
রাজধানী আর তার সে গাঁয়ের
আছেযে অনেক মিল,
কিন্তু তিনিতো শুনেছেন শত
আছে কারখানা মিল|
দালান কোঠা ও দামি দামি গাড়ি
সেসব নেইযে কেন?
সবকিছু তার তমালবিথীর
মতই দেখতে যেন|
এলাকার সব মানুষগুলোও
যেন তার চেনা খুব,
এমনকি এই বাগানটাওযে
নিজ বাগানেরই রূপ|
____________________(চলবে)