আচমকা তোর জল-কালিতে
মিশলো আমার
হে যমুনা!উপচে পড়া
পূর্ণ চাঁদের
জোত্স্না-ধোয়া পরিপূর্ণ
রঙীন ছবি
এক নিমেষেই।রক্ত বেয়ে
ঝরে পড়া
জলের প্রবল স্রোত এড়িয়ে
যে সুখ আমি
এনেছিলাম শুকনো তটে।
অন্তবিহীন
কষ্ট-প্রহর উধাও করে
প্রস্ফুটিত
করেছিলাম প্রাচীন আমার
দুঃসময়ের
ওষ্ঠ জুড়ে প্রণয় দোলে
শুভ্র হাসির
যেই রাগিনী।সে সব আজকে
তোর ভয়ানক
শূন্য পেটে পাক খেয়ে ঐ
পাগলপারা
নীল আঘাতে।হে পাষাণী!
আমায় দেখে
হয়না কি তোর ভুল করেও
সরষে-মায়া
পাথর-প্রাণে?।রিক্ত আমি
চোখের জলে
ভাসিয়ে যাই কষ্ট-অতীত
অর্জিত সুখ
বর্তমানের, যে সুখ পেয়েও
হয়নি পাওয়া
আপন করে মুষ্ঠিতলে
তারেই ভেবে।চরণ হাতে
শুধাই তোরে
হে পাষাণী! এমন করে
আর কখনো
গিলিসনা আর যেন কারো
সুখের ছবি
তোর মায়াবী জল গোগ্রাসে।