একেতো শীত তার পরে ফের ঐ,
আকাশ ভাঙ্গা দুঃসময়ের ঢল,
মাটির পটে ভাজছে যেন খই,
টুপ টাপ টুপ শব্দে অবিরল|
তির তির তির পাতার নাচন তাই,
প্রদর্শিত চিকন চামড়া বেয়ে,
দিনের ঘরেই সাঁঝ পেয়েছে ঠাই,
দৃষ্টি যেন নীল চশমায় চেয়ে|
সরষে বুড়োর শুকনো হলুদ ঘর,
স্যঁতস্যেঁতে গায় প্রয়াণ কালের সুর,
পাহাড় ক্ষতির হাত আবাদীর পর,
কাঁচের স্বপ্ন ভেঙ্গে করে চূর|
শূন্য ঘরের পূর্ণতা হয় শেষ,
'আলপনা'রাও বিধবা ধবধবে,
অভুক্ত রয় সুখ ফাগুনের রেশ,
হয়না পাওয়া কাংখিত ফুল টবে|
আজাদ করে বন্ধ ঘরের চোখ,
উদাস প্রাণের কাব্যে হাঁটাও দায়,
কান্নাবাহী বাতাস করে শোক,
চিত্কারে তার শরীর কেটে যায়|
তাই প্রকৃতির বৈপরীত্যে আজ,
আমার মুখোমুখির পাঁজর ভাঙ্গা,
খরার কাছে হয় যা সুখের রাজ,
আমার কাছে সেটাই বিষাদ রাঙ্গা|
শিকল এঁটে ধূম দিবসের মুখে,
একলা আমি রাত নামিয়ে আনি,
বরফ-সময় যায় না দেয়া রুখে,
বন্দী-চাদর তাই শরীরে টানি|
১৫-০২-২০১৪