প্রেয়সী-প্রাণ শিশুর যত্নে
বুক-পকেটের তলে,
রেখেছিলাম কুসুম নরম
রেশমি রুমাল গলে|


দশদিকে তার বর্তুলাকার
নিখাদ বৃত্ত এঁকে,
শরীর জুড়ে অনন্ত রং
গিয়েছিলাম  মেখে|


আঙুল দুরেই দৃষ্টি-পাড়ার
শূণ্যে সুনীল-গাঁয়,
হীরক-তারার স্বপ্ন-ঘুড়ি
উড়িয়েছিলাম বায়|


হৃদয়-সেঁচা জল দিয়ে তার
বুক-ডায়েরীর বুকে,
বর্ষামাখা পুকুর হতাম
কাব্য রসের সুখে|


সিঁদুর-চোখে সকাল থেকে
সকাল যেতাম পাড়ি,
একটুও জল হারায়না তার
যেন অন্য বাড়ি|


হঠাত্‍ দেখি সুখ-প্রহরের
একদা দুপুর বেলা,
আমায় ঘিরে চলছে কেমন
অন্য রকম খেলা|


ইঁদুর-দাঁতে রেশমি রুমাল
চূর্ণ পাথর কুচি,
দিন থেকে রাত গর্ভ-প্রহর
উলট পালট সূচি|


আকাশ ভরা কাক-মেঘেদের
গুমোট চলাফেরা,
কাঁকড়া ফুটোয় হারাচ্ছে জল
ভেঙ্গে চোখের ডেরা|


বৃত্ত-বেড়াও ঘাসের প্রেমে
মত্ত আলিঙ্গনে,
তিরোভূত স্বপ্ন-ঘুড়ি
নিরুদ্দেশের বনে|


বর্ষা-পুকুর চৈত্র-মাতাল
ঠোট ফাঁটা নেই ভাব,
বুক পাতা তাই বক-সাদা রয়
ভরায়না তায় খা'ব|


হচ্ছেটা কি? প্রাণকে ধরে
প্রশ্ন করি যেই,
ত্রস্তে দেখি হাত ছুটিয়ে
পালিয়ে গেল সেই|