নেশা-যমদূত-নখর-বৃত্ত
পাহাড়-প্রতাপে আজ,
খাঁমচে বসেছে যুবা সময়ের
নির্মেদ ভূমিরাজ|


রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারই বিষ -বানে
রাত্রীরা করে খেলা,
সম্ভাবনার মুখ ছোঁয় মাটি
আশা-উড়ন্ত-ভেলা|


বাতাসের মুখে মেধা পচনের
তীব্রতা ভেসে আসে,
জাগ্রত পাড়া ঘুমায় প্রচুর
নীল-প্রহরের ঘাসে|


দুর্গন্ধেরে ছড়ায় ভীষণ
সেই পচনের নালা,
ঘরে ঘরে জ্বলে অসহ্য আজ
বাদামী চিনির জ্বালা|


কাঁচ ভাঙা হয় স্বপ্নে মোড়ানা
লাখো বধুয়ার চোখ,
ফাগুন-প্রহর তুষের আগুনে
দিন রাত করে শোক|


অসুস্থ মেধা টচার্র সেলে
ঘরের সুখকে বাঁধে,
শাড়ি ও সিঁদূর নিরবে নিভৃতে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে|


ধূম্র ধোঁয়াশা দশ দিগন্তে
বিপন্ন হয় দেশ,
অপরাধ যেন আষাঢ়ে -কান্না
চায়না সে হতে শেষ|


নির্জীব হয় দুর্বার দেহ
নিঃশ্বাস-নীল ধূমে,
এদেশ আমার অলিতে গলিতে
ঘুমায় মৃত্যু চূমে|


যে বৃক্ষ থাকে অন্ধ-প্রহরে
সমগ্র দিন রাত,
কভূ সে বৃক্ষ পায় কি ফ্যাকাশে
শূণ্য সবুজ  প্রাত?|


তাই এসো আজ নীলঘুম ছেড়ে
ভেঙ্গে রঙীন দ্বার,
সুস্থ মেধার সৃষ্টি নেশায়
ভরে তোলো সংসার|