আমি চাই কেউ আমাকে পাগলের মত
ভালো বাসুক!
সদা তৃষ্ণার্ত থাকুক একটু খানি ছোঁয়ার জন্য।
কেউ অনুভব করুক অগাধ শূন্যতায়।
রক্তের প্রতিটি কণায়।
নব বরষায়...!
স্পর্শ করুক অলীক কল্পনার মায়ায়।


আমি চাই কেউ আমায় খুঁজে বেড়াক
পথ-ভোলা পথিকের মত!
শৈশব ফেলে আসা বৃদ্ধের মত।
আবছা অন্ধকারে নীড়-হারা পাখির মত।
কেউ একজন আমার  কথা শোনার জন্য
ব্যাকুল হোক..!
অভিমান ভাঙানোর তীব্র চেষ্টা করুক।
আমার মন খারাপের কারণে অস্থির হয়ে উঠুক।
মধ্য রাতে ঘুম ভাঙুক।
আমার অবহেলা আমার নীরবতা-
কাউকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দিক।


আমি চাই কেউ আমার চোখের গভীরতার
মায়ায় পড়ুক!
আমার জন্য বাঁচতে শিখুক!
সংসার বাধার সোনালি স্বপ্ন দেখুক।
ক্ষণে ক্ষণে আমার কথা ভাবুক।
হারানোর ভয়ে সারা-রাত জেগে কাঁদুক।
তাঁর কান্নায় সাগর ভারী হয়ে উঠুক।
পৃথিবীর মাঝে নিস্তব্ধতা ধেয়ে আসুক।
আমার একটু খানি ভালোবাসায় মুখে হাসি ফুটুক!


আমি চাই কেউ আমার জন্য প্রভাত থেকে রাত্রি পর্যন্ত অপেক্ষা করুক!
দরজায় কড়া নাড়া মাত্র ছুটে আসুক।
মাতাল করার জন্য গায়ে সুগন্ধি মাখুক।
বক্ষ মাঝে দু ঠোঁট একে দিক!
আমায় পড়ুক..গায়ের প্রতিটি লোম চিনুক।
ছলে কৌশলে ভুলিয়ে আমায় তাঁর কাছেই রাখুক!


খুব বেশি ইচ্ছে করে কেউ একজন
সারা জীবন আমার আঙুল ছুঁয়ে থাকুক।
হৃদয় মৃত্তিকায় তাঁর শেকড় ছড়িয়ে দিক।
আমার জন্য এক বার কেউ ডুকরে কেঁদে উঠুক।
কেউ তার সব টুকু ভালোবাসা আমার নামে করুক!


***
কবিতাটি উৎসর্গ করলাম:
একজন অসম্ভব সুন্দর রমণী'কে "আফসানা মিমি"।
যার কন্ঠস্বর আমায় মুগ্ধ করেছে। আরও মুগ্ধকর তার মায়ায় ভরা দু'আঁখি! মেয়ে'টি কবিতা অপছন্দ করে। তবুও তাঁকেই উৎসর্গ করলাম।
বক্ষের পাঁজরে বেষ্টিত অগাধ শুভ্র সতেজ ভালোবাসা নিও 'মিমি'!