বহুবছর পর তোমায় লিখছি,
তোমার প্রতিশ্রুতি ভুলে, আমি এখনও আছি স্মৃতির পাতার স্বান্তনা নিয়ে।
শেষ কবে তোমার হাতে হাত রেখে ছিলাম মনে নেই।
শেষ কবে তোমার কোলে মাথা রেখেছি ঠিক মনে নেই।
শেষ কবে তোমার চোখের দৃষ্টিতে ডুবে ছিলাম মনে নেই।
শেষ কবে তোমায় নীল শাড়িতে জড়িয়ে থাকতে দেখেছি, মনে নেই।
আরো কতকিছু মনে নেই, কিন্তু এই ভুলে যাওয়া আমি  
আবার সময় করে করে তোমায় মনে করেছি অগুনন।
সময় ভুলে যাওয়া যায় কিন্তু স্মৃতি কি করে মনে করবো না।
তোমায় মনে করার জন্য অযুক্তিক অজুহাত হলেই হয়।
যেমন ধরো বৃষ্টির অজুহাতে, তোমার ভেজা চুলের ঝাপটা যেন আমার মুখের উপর এসে পড়ে।
না হয় সবুজ ঘাসে তাকিয়েও, তোমার নুপুর পায়ের চাপ দেখি শব্দও শুনতে পাই।
অথবা কর্মবিরতি তে একলা হওয়ার অজুহাতে, তোমার হাতের ঝাল পিঠার স্বাদ ফিরে আসে।
কত কিছুই তো রাতে কিংবা অজুহাতে ফিরে আসে,
তুমিও তো চাইলেই পারতে।
কই ফিরলে না তো।
মনে হয়,এই তো সেদিন
তোমার চলে যাওয়া পদার্পণ গুলোর দিকে তাকিয়ে আমি নিজেকে মনে মনে সহস্রাধিক বার দোষারোপ করেছি।
কিন্তু মুখে বলতে পারি নি।
কই তুমি তো একটুও বুঝতে পারো নি, আমার লুকানো চোখের জল।
তবে মিথ্যে কেন বলতে?
আমায় তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বুঝো।
তোমার মনে পড়ে?
কাশ ফুলের সেই মাঠে, আমার জন্য তোমার অপেক্ষা।
আর দেরি করে এসে কত বাহানায় তোমাকে মানিয়ে নিতে হতো।
তারপর বেলীফুল আর তোমার চুলের ঘ্রাণে মিলেমিশে যেত আমার বিকেল।
সত্যি অনেক বেশি মিস করি সে দিন গুলো।
আর কারণে অকারণে মনে করি সেই তোমাকে।