পথেই না হয় হবে
আবার আমাদের দেখা,
রৌদ্রজ্বলা পথ আবার উপমায় আঁকবে-
তোমার আমার ক্ষণকালীণ দৃষ্টির মিলনরেখা।


পথেই হয়তো শুনবো
তোমার পায়েলের রুনঝুন শব্দ,
অবুঝ দিনে যেটার অনুপস্থিতে
মন আমার হয়ে যেত বিষণ্ণতায় ক্ষুব্দ।


পথেই হয়ত চুপিসারে তোমায় খুজে বেড়াব
লক্ষ জনতার বহুল ব্যস্ততার মাঝে,
যেমনটা  তোমায় আবিষ্কার করতাম
তোমার ওই স্রোতভাঙা পদচিহ্নের মায়াবী সাজে।


পথেই হয়ত লক্ষ্য রাখব
ঘড়ির ঘণ্টার ৩টা ৬টার কাটার দিকে,
যখন এক সমূদ্র অনুভুতি আমার ঢেউ সাজাতো
তোমায় অদূর থেকে আসতে দেখে।


পথেই হয়ত চিনব চিরচেনা সেই চাপা হাসি,
হয়ত দেখব আনমনে বেখেয়ালি তুমি-
হেসেই চলেছ নিজ গন্তব্যে,
যে হাসিকে আমি রাঙাতে চেয়েছিলাম
আমার সচেতন নির্বাক  শব্দের মন্তব্যে।


পথেই হঠাৎ হয়ত দেখব
আমায় পাগল করা তোমার অবাধ্য চুলের দোলায়িত মায়া,
যে মায়ায় আমি সহসা খুজে পেতাম
ঝড়া পাতার বিচ্ছেদের অনল অনুভুতির ছায়া।


পথেই হয়ত আমি আবার প্রেমে পড়ব
আমার সব মুগ্ধ দৃষ্টির কাজল দিয়ে,
তোমার দৃষ্টি সীমানায় আমার নামের বাধ গড়ব।
হয়ত আবার তোমাতেই মরব।


পথেই হয়ত হবে
আবার আমাদের দেখা,
এমনও আশার প্রদীপ নিভৃতে জ্বালিয়ে
কমিয়ে চলেছি গহীনের আবেগী ব্যাথা।