সংজ্ঞাহীন রাজধানী, ঘুমন্ত জনগণ,
মাঝরাতের ধুঁ ধুঁ ময়দান নাগরিকের লাশ
চিল শকুনের আস্ফালন---
সকালের কর্মব্যাস্ত শহর,
মিউনিসিপ্যালিটির সাফাইকর্মী ধূমপানে বস্তাবন্দী মাংস পিন্ড!
প্রাচ্যের ডিজনীল্যান্ড ওই যে মেলার মাঠ আজ
কত রোশনাই, বাজি পটকার শব্দ--
গগনচুম্বী ইমারত।
ঝড় তুফান মহামারীতে অটল তোমার জনপদ
গণতন্ত্রের রক্ষক আজ বলিষ্ঠ , সেবায় বদ্ধপরিকর।
তিলে তিলে গড়া তোমার আমার দেশ,
পাশের বাড়ির ছেলেটি সকালে স্লেটে লিখছিল স্বরবর্ণ,
রাতে অফিস থেকে ফেরার পথে!
চোখে পড়ল পাড়ার ঘরগুলির এককোনে মৃদু আলো---
রাত নিশুতি , হাজার কলমের কালি ফুরিয়ে
যুবকেরা কষে চলেছে জটিল অঙ্কের সমাধান।
বাইরে তখনও মেলা চলছে
উৎসাহী একজন কলম ফেলে বেরিয়ে এলো,
হাতে ঠেলা গাড়ি, উপকরণ তেলেভাজা!
শিক্ষার আত্মতুষ্টি হলো,
শুধু তার ক্ষুধার রাজ্য গদ্যময়
শেষ তেলেভাজা টুকু মুখে পুরে, হাতের ছেড়া কাগজে---- মুখ মুছতেই
হাজারো স্বপ্নে বোনা সম্ভাবনাময় বিজ্ঞাপন।
রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, হাতে পরিশুদ্ধ সালফিউরিক।
নিয়ন আলোয় আলোকিত রাতের আকাশ
শেষ আনন্দ উল্লাস,
এক চুমুক----
মাঝরাতের মেলা শেষ, চিল শকুনের পুনঃআস্ফালন।
তোমার আমার স্বপ্নপুরী
গণপ্রজাতন্ত্রী ইউটোপিয়া।