হলুদ কার্ড ও কাটমানি
জি. রমেশচন্দ্র


আমি শ্বেতদাসত্বের বাজারে বিকিয়ে যাওয়া গোর্কি, লেনিন, মার্ক্সের দেশের মেয়ে।
হ্যাঁ, তখনও আমি নাবালিকাই।
জন্ম যে দেশে, সে দেশের নাগরিক নই তবু।
রূপ ফুটে উঠছিল সবে,
সবেমাত্র জ্ঞানের আলো ফুটে উঠছিল মানবসত্তার কোণে।
মরতে পারিনি, তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাসপোর্টের পরিবর্তে জোর করে গুঁজে দেওয়া হল পতিতাবৃত্তির সরকারি স্বীকৃতি 'হলুদ কার্ড'।

আমি যে মেয়ে।
ধনীর কামলালসা নিবারণের যন্ত্রমাত্র।
আমার প্রকৃতি নেই, ঘাসকে গাছ বলার নেই অধিকার।
নেই, চাঁদের আলোয় স্নান করার মানসিক প্রশান্তি।
আমার বিপ্লবের মিছিলে নেই কোনও কন্ঠ।


আজ দেহ পারে না আর খদ্দেরের আশ মেটাতে।
পুলিশ, সরকারি কর্মচারী থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যায় আমার আয়ের কাটমানি।
রোখ দেখাতে পারি না আদালতের পাঁচশো রুবেল জরিমানার ভয়ে।
আমি যে মেয়ে।
আমি যে নিম্নশ্রেণির খড়কুটোর মতো ভেসে থাকা এক গরিবের মেয়ে।
এক গরিব করে রাখা দেশের মেয়ে। এখন সামনের সব পথ বদ্ধঘরে আগুন লাগার মতো।
মৃত্যু ডাকছে প্রসারিত ব্যাঙ্গে।
তবু আঁধার চিরে আলো দেখা যাচ্ছে,,, ওই শোনো, কী তিরস্কারের গোর্কি বলছেন- তোমরা 'মরা মাছের মতো, যার পচন শুরু হয়েছে মস্তিষ্ক থেকে'।


অনুপ্রেরণা: সিন এন্ড সাইন্স, ডাইসন কার্টার