‌তোমার  নামে একটা রাস্তা বানিয়ে দেবো,
যতদূর  ভালোবাসার ঘ্রাণ ছুঁয়ে যাবে সব নিরাশ্রয় হৃদয়।
কিছুটা গন্ধ থাকবে তোমার রিঠেমাখা চুলের।
তোমার ছোটো চোখের দৃঢ় দীপ্তি আর কঠোর
পরিশ্রমের হাওয়া ম ম করবে ধূলোর কণায় কণায়।
তোমার কোঁদাল কোপানো,কুড়ুল চালানো
কড়া হাতের কেরামতিও রাখতে চাই,
রাখতে চাই পঁচিশ গ্রাম তেলে দু-পদ স্নেহ-মমতা -মাখা
সদা সুন্দর রান্না,যার স্বাদ মায়েরই মতো।
আটপৌরে শাড়ি পরে অপেক্ষাকৃত ময়লা কাপড়ে
কোনও দ্বিধা - দ্বন্দ্ব ছাড়া হাসি মুখে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে
নিজে না  খেয়ে আমাদের জন্য নিয়ে আসা ভালো ও বাসি খাবারের কথা তুলে রাখব রাস্তার দু'পাশে।
ছোটোবেলার পোষাক তো স্মৃতিস্বরূপ কিছুই  রাখোনি,
সেটা যে বলার মতো কিছু না তাও লিখে রাখব,
রাস্তাটা একটু অন্যরকম করতে চাই মা।
ঠিক নজরুল বা রবীন্দ্র  সরণীর মতো নয়,
ওনারা তো লিখিয়ে।
কিন্তু তোমার মতো মাটির মানুষ,
মা-মাখা গন্ধ ক'জনের আছে বলো!
তুমি কেরোসিন তেল জমিয়ে
চার আনা আট আনা গুছিয়ে খাতা
কিনে দিতে বলেই তো আমি এখনও লিখতে পারি মা।
এ কথাও খোদাই করে রাখব
আমার মতো উপোসী ছেলেরা জেনে
বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখবে,মা।
মা তোমার নামের রাস্তা দিয়ে যারা যাবে,
তারা মাকে ভুল বুঝবে না,
কিছু না কিছু শিখতে শিখতে চলবে সে ।  
তাই রাস্তাটা একটু অন্যরকম বানাতে চাই মা।