একটি চাঁদের গল্প   (20-04-2017)
রণজিৎ মাইতি


চাঁদমামা লুকিয়েছ কোথা!
শুধু তারারাই মিটমিট করে।
আমি তন্নতন্ন করে খুঁজি,দেখি
দোলনায় শুয়ে আছে পূর্ণিমার চাঁদ।
ঘুমন্ত,তবু হাসিমুখে
কার সাথে বিনিময় করে,
ভাব ভাষা ভালোবাসা।
এ দেয়ালা আমার অবোধ্য।


কখনো কেঁদে কেঁদে গান গায়,
এ গানে কি প্রতিবাদ আছে?
মায়ে বোঝে,এ গানের উৎস ভূমি কোথা।
জঠরের তাপ নাকি একাকিত্বের ঘোর!
নাড়ি ছেঁড়া ধন সাধে তো বলেনা।


সারাদিন ব্যস্ত নানা কাজে,
নুন হাতে হাতা খুন্তি নাড়াচাড়া শুধু
আঁশ গন্ধ,হলুদের দাগ লাগা হাতে
পরিবার চেয়ে থাকে,তাই
নিপুণ শিল্প বুনে বুনে
কখন যে ভুলে গেছে,
ভুখা পেটে চাঁদ আছে শুয়ে।


তাই স্তনস্রাব উথলে ওঠে,
শুনে এ ক্রন্দন রোল,প্রতিবাদী গানে।


সেই চাঁদ যৌবনে এসে,
কখন যে শিখে যায়--
এড়িয়ে যাওয়ার মন্ত্র,
সে নিজেও কি জানে?
শুধু জানে এ হাসি বা কান্না
দুর্বলতা ছাড়া কিছু নয়।


তাই নিপুন কৌশলে ঢাকে সমস্ত আবেগ।
গোছানো বা হাতানোই মূলমন্ত্র হয়ে ওঠে,
ছয় রাগ ও ছত্রিশ রাগিনী তালুবন্দী করে।


শুধু ভাবেনা খাঁচার পাখি,
দেখেও দেখেনা আলো ফেলে--
মুক্তি শুধু লেখা আছে,
শৈশবের প্রতিবাদী গানে।