অর্চনা (17-03-2017)
রণজিৎ মাইতি
ঘরেতে প্রতিমা
শ্বেতপদ্মাসনা হংসবাহন,
সদাই জাগ্রত।
যজমান দৃশ্যমান,ব্যস্ত সদা।
কুল কামিনীর দল পরিবৃত
কম্বুনাদ,উলুধ্বনি সহ
আতরদান, ধুনুচি হাতে
পুণ্যলাভ আশে।
এখন আমরা পুরুত ঠাকুরের অপেক্ষায়,
ভাবছি এসে কোন দৈবিককান্ড ঘটাবেন।
এলেন হন্তদন্ত হয়ে,
এক হাতে পেতল ঘটী,কোষাকুশি, দুর্বা
অন্য হাতে কুঞ্চিত কচ্ছ,
ঠিক ঠিক পুরুতের মানান সই।
মুখেতে (বলির) মাংসের স্বাদ,
মনে বিখাউজ!
হে মাণবক,
আধুনিক দ্বিজ
পরম্পরা ক্রমে লব্ধ
এ আচার অর্চন লোভাতুর।
বহু পুরোহিতে দেখি,-
মুদ্রা শিল্পী, মুদ্রাবর।
কখনো অভয় মুদ্রা
কদাচ বা বর।
তথাপি ভাব আছে ভাষা নেই,
বা ভাষা আছে ভাব হীন।
এমন কবিতা কি কাব্যের মর্যাদা পায়?
শুধু অর্চনার নামে-
নৈবেদ্য,ঘটের ডাব সহ
সিন্দুর, কুমকুম, অগুরু
আর যত উপাদান, সব
আড়চোখে দেখে!
হে মাণবক ,
আগামীর দ্বিজ।
এ কেমন অর্চন?
আত্মা যেথা মুক্তি নাহি পায় !