অর্থই অনর্থের মূল(07-07-2019)
রণজিৎ মাইতি
-------------
সুন্দরী স্মার্ট,ইউনিভার্সিটি পাশ শালিকাকে নিয়ে রথের মেলায় যাচ্ছিলাম।পথে হঠাত্ পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা ।কথায় কথায় চেয়ে নিই একটা বিড়ি।আসলে যতোটা না ধুমপানের তেষ্টা তারচে অনেক  বেশি দুয়ে দুয়ে চার অর্থাত্ কলেজ স্মৃতি । সুখটান দিতে দিতে ঝালিয়ে নিই পুরনো বন্ধুত্ব।মনে হয় সবকিছুরই নবীকরণের দরকার পড়ে। দেখি আমার শালিকারত্নটির মুখে একরাশ বিরক্তি। আড়চোখে জরিপ করছে আমাদের । যেনো আমরা কোনও ভিন গ্রহের জীব।


আচ্ছা,স্বাস্থ্য সচেতনতাই কি বিরক্তির কারণ? যদি আদরের জামাইবাবুর শরীরে থাবা দেয় মারণ কর্কট, দিদিটার শরীরে রাতারাতি উঠবে সাদা থান।এই আশঙ্কা থেকেই হয়তো।


না না, সেসব কিছুই নয়। যতো দোষ ওই নন্দ ঘোষ বিড়ির । আসলে কে চায় ঠেলাওয়ালা,রিকশাওয়ালা,কুলি ও মজুরের ক্লাসে নেমে যাক এই সুসভ্য জামাইবাবু ? বরং চলুক চুটিয়ে ফাইভ ফাইভ ফাইভ!


হায় রে সাধের সভ্যতা, তোমার শেকড় এতোই গভীরে!কে বলে বিভেদ শুধু ধর্মে বর্ণে বরং অর্থই অনর্থের মূল!চোরাগোপ্তা মানুষকে ঠেলে দেয় আর এক মানুষ থেকে বহু বহু দূরে!