চোখ
রণজিৎ মাইতি
-------------
একজন পাহাড় থেকে ঘুরে এসে বললো--
'না ভাই,যাই বল ঘরের মতো সুখ কোথাও নেই।'
অপরজন জাষ্ট ঘর থেকে বেরিয়েই বললো--
'ধুর্ ধুর্,কেন যে মানুষ ঘর বানায়
সুখের প্রকৃত আকর হলো অই উঠোন।'


এই যে দুই ভিন্ন মানুষের বিপরীত অবস্থান
কোনো একটি পথের সমর্থনে কখনো কি কুসুম ছড়াতে পারবেন ?
কিংবা লাল কার্পেট বিছিয়ে বলতে পারবেন 'you are welcome'?


যে মানুষটির কাছে আকাশ অর্থ ফুটপাত;
সেখানেই বয়ে যায় হাসি-কান্নার নৈমিত্তিক পুতনির্ঝর;
ছুঁয়ে যায় বেলাশেষের অচুম্বকীয় অমোঘ মৃত্যুমোহনা
জানেন,প্রকৃতি বিরূপ হলে মানুষের বিত্তগর্বী মুখও কতো অসহায়।
তেমন মানুষই তো -চিলতে চিলেকোঠার জন্যে চির লালায়িত;
লীলায়িত লীলাকমলের মোহে,
ছাদ,ছাদনাতলা ও মায়াবী ঘোমটায়।


কিংবা যে মানুষটির আসমান জুড়ে অনড় সংসার;
জটিল মায়াবী আবর্তে সুযোগই পায়নি উঠোনের বাইরে পা রাখার,টুঁ মারার পড়শি বাগানে
হয়তো আসল মানুষপাখিটি চরিত্রে পরিযায়ী স্বভাবসর্বস্ব;
প্রতিদিন যার রাতের বালিশ লেখে বদ্ধ নভঃযন্ত্রণার একান্ত ধারাবিবরণী
সেই মুক্তপ্রাণ পাখিটিকে কেউ কি শোনাতে পারে আপনার ভিন্নতর তরঙ্গলহরী?
না না,হেথা নয় হোথা নয়,সুখ অন্য কোথা।


আসলে বাঞ্ছারামের বাগান জুড়ে সাজানো গোছানো অজস্র বিপ্রতীপ চারু চক্ষুপসরা;
স্থাবর-অস্থাবর,কোনটা উদাসীন,কোন চোখে উদগ্র বাসনাপরাগ
আবার কোনো কোনো বিতরাগী,স্বভাবে বাউণ্ডুলে
যদিও দিনশেষে প্রতিটি মৌল বিক্ষা ঠিক করে দেয় সুখ ও অ-সুখের প্রকৃত সংজ্ঞা।


(03-07-21)