চৌম্বকক্ষেত্র(05-09-22)
রণজিৎ মাইতি
--------------
সেদিন ভাঙা পাঁচিলের ফাঁক গলে আমাদের বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়েছিলো একটা নধর হুলো;
ভেবেছিলো আস্ত বাড়িটাই এক আকাশ সুখ!


খুশি মনে সে মাছ খেতো,মাংস খেতো
আর মহাসুখে চেটেপুটে খেতো বাটিভর্তি দুধ ও সর।
কিছুদিন পর তার পেশিবহুল সুঠাম শরীর থেকে বিচ্ছুরিত হলো জেল্লা নামক ফ্লুরোসেন্ট।


তাই দেখে আমাদের পোষা সদ্যযৌবনা আদরের মেনি বেড়ালটিও জুলিয়েট হয়ে গেলো;
অনুভব করলো নারী যদি হর্স সু'জ ম্যাগনেট হয়,পুরুষ মাত্রেই চুম্বক শলাকা,
যার চারপাশে অনন্ত প্রসারী চৌম্বকক্ষেত্র।


এখন তারা আমাদের চোখ এড়িয়ে
সন্ধ্যায় নিবিড় হয়ে বসে ঈশান কোণের ছাতিমতলায়;
পাতার ফাঁক দিয়ে দেখে পূর্ণিমার চাঁদ।
আবছায়ায় এ-ওর গায়ের গন্ধ নেয়;
আর মনে মনে সেরে নেয় মালাবদল।


কিন্তু সময় নামক কর্মব্যস্ত পাঠশালা এই কয়দিনে মেনিটিকে শিখিয়েছে---
জীবন মানে প্যারিস এসেন্স নয়,নয় রপসবেরী বা স্ট্রবেরী লিপস্টিক।
তাই মেনির সর্বাঙ্গ জুড়ে এখন ঘেমো গন্ধ।


কটু সেই গন্ধে হুলোটি হারিয়ে ফেলছে তার সমৃদ্ধ সমস্ত গদগদ বিত্ত,
অভ্যাস বসে মেনিটিও মাঝে মাঝে ডগমগ কোজাগরী পূর্ণিমা হতে চায়,কিন্তু পারেনা।
কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে বাতকর্মের সম্পর্ক চিরকাল গভীর।


যদিও উভয়ে,একে অন্যের নামে করতে পারেনা বিচ্ছেদ মামলা।
পাঁচিল তো চিরকাল ভাঙা আমাদের,
তবু যন্ত্রণার যুপকাষ্ঠে বলি হয় স্থিতপ্রজ্ঞ নির্বাক সময়!