চুষিকাঠি
রণজিৎ মাইতি
-------------
মায়ের শুকনো বুকে অমৃত ছিলো না;
তাই শিশুটি চুষতো তার কচি কোমল আঙুল,
মাও তার অক্ষমতা ঢাকতে মুখে গুঁজে দিতো চুষিকাঠি!


এইভাবে নাছোড় শিশুটি একদিন বড়ো হয়ে গেলো শরীরে।
ভোরের স্নিগ্ধ সূর্যালোকে ভেজার আশায় যেভাবে দিঘির গভীর তলদেশ ছেড়ে উঠে আসে কমলকলি জলতলের উপর,
সেই ভাবে অভিজ্ঞতার পারদ বুঝিয়ে দিলো পেটের জ্বালা কতোটা ভয়ঙ্কর,
যা নেভাতে গেলে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত নিংড়ে দিতে হয়,
নিংড়ে দিতে হয় মেধা।


সেদিনের শিশুটি এখন মহান দেশের সুনাগরিক;
সুদিন ফেরার আশায় চিৎকার করে বলে,- "কাজ চাই,থুড়ি অমৃত চাই।"
কিন্তু অমৃত জোটে না ছিটেফোঁটাও।


তাই শিশুর মতো সাবালক ছেলেটি আজও আঙুল চোষে;
ভাত  দিতে না পেরে ভারতমাতাও হাতে ধরিয়ে দেয় চুষিকাঠি!