দিনান্তের ম্লান আলো(22-09-2018)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
শেষ সীমান্তে এসে ফিরে দেখা বিগত জীবন।
ক্ষণস্থায়ী যৌবন,উজ্জ্বল ক্ষণপ্রভার মতো
আজও অমলিন,সেই ঘ্রাণ হৃদয় দোলায়।
শৈশব হীরকখণ্ড ,রান্নাবাটী মহার্ঘ্য সম্পদ
হিংসা ও বিদ্বেষহীন,নুড়ি পাথরগুলো জ্বলন্ত চকমকি
পশ্চিম দিগন্তে দেখি,দিনান্তের ম্লান আলো---
বিকিরণ করে চির চেনা গৈরিক রাগ
পাখি সব ফিরে যায় আপন কুলায়
চুপচাপ বসে বসে শুনি শেষ পদধ্বনি।
অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর উদ্ভাস
নিজস্ব মুখ দেখি হৃদয় আয়নায়
শামুক যেভাবে শুঁড় বের করে সেভাবেই--- হৃদয়ের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা কলাবতী প্রেম ঘোমটার বাইরে আঁকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।
ভেদ-অভেদ,ইহকাল-পরকাল,জীব-জড়ের পার্থক্য
রামানুজ,শঙ্করাচার্যে ফিরি পুনঃ পুনঃ
পরক্ষণেই মাটির বুকেও ফিরি,
চলে দোলাচল,নীলাচলের পথে পূজ্যপাদ
আবার কখনও হয়ে যাই চার্বাকবাদী
প্রকাশ্যে আসে দাম্পত্য কলহ,
কতোটা মধুর এই দড়ি টানাটানি ?
পরিচিত প্রবাদই এখানে প্রবাদপ্রতিম
লাড্ডু শুধু আমাদের প্রিয় নয়,সাজানো গোছানো গণেশের খাওয়ার থালায়
সেখানে বিষাদ,বিবাদের নেই ছিটেফোঁটা রেশ
বরং স্মৃতিচারণে উঠে আসে অনুতাপহীন এক সোনালী অতীত।
নির্ঝরের মতো খরতর শব্দে বয়ে যায় বিস্তীর্ণ বারিধি দিকে
কার খোঁজে ? কে দেবে উত্তর ?
তবুও এই কালস্রোতে অমৃতের সন্ধানে ঘোরে অমৃতের সন্তান