প্রিয় কবি আশিকুর রহমান "হৃদয়ে ফোটা ফুল"কবিতার মধ্য দিয়ে সঠিক ভাবে সমাজ সংসারের বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন ।হৃদ কাননে ফোটা ফুল তাঁর প্রিয়তমার প্রতীক, আর তিনি নিজে
সেই বাগানের মালি হয়ে পরিচর্যা করতে চান ফুলের।


আসলে মানবদরদী কবি রূপকের মাধ্যমে এই সংসার জীবনে নারীদের প্রতি যে অনাদর, অবহেলা, বঞ্চনার ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে এবং বর্তমানে যা ঘটে চলেছে তা তিনি মালি হয়ে মুছে ফেলতে চান।তিনি নিজে নিতে চান সে ফুলের সুবাস।অর্থাৎ সংসার জীবনে পুরুষের মতো নারী ও সসম্মানে বিরাজ করুক প্রতিটি কোণায় কোণায় তা তিনি চান । এই সমাজের বর্তমান অবস্থা কবিকে পীড়িত করে ।তিনি লক্ষ্য করেন লক্ষ লক্ষ মৌমাছি ফুলের দিকে ছুটে যায় শুধু মকরন্দের লোভে,ফুল ভালোবেসে নয়।অথচ এই সুন্দর পৃথিবীতে এ ভালোবাসা ফুলের প্রাপ্য ।যা কবিকে ব্যথিত করে ।তাই কবি লক্ষ্মী স্বরূপিনী নারীদের সেবক হয়ে সেবা করতে চান।


কবি রক্ত মাংসের মানুষ । আজন্ম তাঁর প্রেমিক হৃদয়ে নাড়া দেয় ফুলের সৌরভ।তিনি উপলব্ধি করেন তাঁর হৃদ কানন উর্বর । তাই তিনি ফুল ফোটাতে চান সে কাননে।


আর একটা কথা না বললেই নয় । না বললে আমার মনে হয় আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তা হলো কবি সুন্দরের পূজারী।সৌন্দর্যই তাঁর ধ্যান জ্ঞান ।সত্যম শিবম ও সুন্দরের উপাসক।এমন সুন্দর একটি রোমান্টিক কাব্য উপহার দিলেন অথচ কোথাও কোনও শ্ল্যাং শব্দের প্রয়োগ পেলাম না ।যা আজকের দিনে কাব্যিক স্টেটাসে দাঁড়িয়ে গেছে । এখানেই কবি অনন্য এবং তাঁর রুচি ও নান্দনিক বোধের পরিচয় মেলে


সবশেষে বলি,এমন সুন্দর নান্দনিক কাব্য উপহার দেওয়ার জন্যে মানবদরদী রোমান্টিক কবিকে হৃদয়ের অন্তস্তলে থেকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ।কলম চলুক ।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো