যুদ্ধের গল্প বলো(13-05-2018)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
যুদ্ধের গল্প বেশি বেশি বলো
যুদ্ধের গল্প থেকে চিনে নেবে হিংসার আকার প্রকার
আগুনের মতো হিংসাও পোড়ায়,ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে তরঙ্গ কিভাবে


যুদ্ধের গল্পের ভিতর বীরত্ব কি আছে ?
ইতিহাসের পাতায় পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা অতীত ঘটনা
ফিরে যাই মহাকাব্যে;যে কাব্য জন্মেছিলো বাল্মীকির হাতে,বেদব্যাসের হাতে,ধাত্রীভূমি ভারতের মাটি


সেখানে কি ঘটেনি রক্তপাত ?
আঠারো দিনের যুদ্ধে কুরুক্ষেত্রে মানুষ ছিল না,কান্নার শব্দ কি ছিলো ?
চারপাশে শ্মশানের নীরবতা,শুধু মাংসাশী জীবের উল্লাস


এখনও বুকে ক্ষত,হৃদয়ও ঝাঁঝরা
কোথাও এক ফোঁটা রক্ত নেই,রক্তের দাগ
উবে গেছে কর্পূরের মতো উচ্চ তাপাঙ্কে
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে হিরোশিমা,নাগাসাকির পিলে পুড়ে গেছে,চমকাবে কিভাবে ?


দেখি এই পোড়া দাগ,ক্ষত,রক্তক্ষয়,হিংসার ঢেউ ও তার বিস্তার
আগামী পৃথিবীকে কিভাবে চেনাবে যুদ্ধ ও শান্তির ফারাক ?
তাই যুদ্ধের গল্প বেশি বেশি বলো
কলিঙ্গ যুদ্ধের গল্প,
যার পরিণতি দেখে সম্রাট অশোকের মনে ঝড় বয়ে গেছে  
সে ঝড়ের অভিঘাতে শুনিয়েছে শান্তির বাণী।