কলাবউ (18-10-2018)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
দেবাদিদেব মহাদেবের পরিবারটি সহজেই চোখে পড়ার মতো;
মুখে আধুনিকতার বড়াই করলেও আদ্যন্ত মাছে ভাতে বাঙালি।
শাক দিয়ে কখনও কি কেউ মাছ ঢাকতে পেরেছে এই পৃথিবীতে  !


প্রতিটি সদস্যই নজর কাড়ে আপন ক্যরিস্মায়,
বিদুষী মা দূর্গা পরেন ঝলমলে পাটভাঙা লাল বেনারসী।
ননদিনী রায়বাঘিনী লক্ষ্মীর পরনে দামি ঢাকাই মসলিন।
বিদ্যোৎসাহী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সরস্বতী বজায় রাখেন সর্বদা শ্বেত সত্ত্ব ভাব।
আধুনিক ডিজাইনের নব নব পোশাকে চিরকুমার কার্তিক এই বঙ্গের সুন্দরী মেয়েদের নজর কাড়েন,
ভুঁড়ো পেটের গনেশ জানেন তার শরীরে সব পোশাকই বেমানান;
কেবল খাওয়ার দিকেই তার যতো উৎসাহ,
থালা ভর্তি লাড্ডু নিমেষেই করেন উদরসাৎ!
তার একমাত্র দুঃখ ওই কুলবধু কলাবউয়ের জন্যে,
পরনে আটপৌরে লালপাড় হলুদ তাঁতের শাড়ি ।
দিনের বেলা দেখতে পান না অবগুণ্ঠিতা স্ত্রীর মুখ !


অভিমানে মাঝে মাঝে চুপচাপ বসে থাকেন ঘরের এক কোণে,
ইচ্ছে কি করে না স্ত্রীকে একটু আল্ট্রামডার্ণ রূপে দেখতে ?
অবশ্যই এটা এখন গবেষণায় বিষয় !  
কারণ যে কোনও প্রতিমা আসলে সামাজেরই দর্পণ।


যদিও ছেলেটি এতোটাই মায়ের নেওটা দুঃখ পেলেও বিদ্রোহ করেন না !
বরং মেনে নেন বাংলার কৃষ্টি,রীতি রেওয়াজ ।
হে আধুনিক বাংলা---
তুমি কি মুখ তুলে তাকাবে না এই বঞ্চিতা গৃহবধূদের দিকে ?