ক্ষুধার সামনে দাঁড়ালেই (17-01-2018)
রণজিৎ মাইতি
---------------------
ক্ষুধার সামনে দাঁড়ালেই---
দখিনে হাওয়াও নিছকই হাওয়া মনে হয়
ঋতুরাজ সরে যায় দূরে,অগম দূরত্বে
শুনি কুহু কুহু,অসহ কর্কশ ঠিক কা কা এর মতো
তখন লেপের তলাও কি নিরাপদ এই কনকনে শীতে ?
ভোররাতে জেগে ওঠে ক্ষুধার্ত পাখি
ফিরে যায় পরিযায়ী নিজস্ব নীড়ে
উত্তুরে ও দখিনে হাওয়ার কোনও তফাত বুঝিনা
মনে হয় এ সফর,ঝটিকা সফর
থেমে যায় প্রবল ঘুর্ণি ও কালবৈশাখী ঝড়ে


কাছের গলি হতে ভেসে আসে কুকুরের কান্না,মাঝরাতে।
গাছের ডালে বসা লক্ষ্মী পেঁচাটিও ম্রিয়মান


একদিন স্নায়ু হারিয়ে ফেলে বোধ,মেধা,স্নায়ুর ভাষা
মননশীলতা তিলেতিলে বন্দী হয় লোহার সিন্দুকে
দ্রুত নেমে আসে ধূর্ত শিকারী,ঘুরে চারপাশে বর্ণপরিচয়,কথামালা,বোধোদয় নিরর্থক মনে হয়
চন্দনের গন্ধ,ধূপ,ধুনোও হারিয়ে ফেলে সুগন্ধের ভাষা


হেঁটে যাই পার্ক সার্কাস দিয়ে,সয়ে গেছে নাকে  
চলমান পথে অগণিত মানুষের মতো হাঁটাহাঁটি
এ ক্ষুধাতুর পেট কোনও কিছুর বারণ কি মানে ?