নাছোড়(17-09-21)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
কতোদিন ভেবেছি এবার বিড়ির ধোঁয়া ছেড়ে দেবো;
ছেড়ে দেবো রঙিন পানীয়।


জানি,পেটাই পরোটা বাড়িয়ে দিচ্ছে রক্তবাহে স্নেহ,
সুতরাং ওটাও ছাড়তে হবে তেলেভাজা,রসগোল্লা ও রেডমিটের সাথে।
সুগারটাও চড়চড় করে বাড়ছে
তাই তোল্লাই না দিয়ে ছেড়ে দেবো ভাত ও ভাতঘুম।


সেই কবে কে যেনো বলেছিলেন আয়েশ বড্ড হারাম
তাই ছাড়তে হবে চুমু,বউও নাকি এক মারাত্মক নেশা
যৌবনে যা শোভন,বার্ধক্যে তা নাকি ভয়ঙ্কর অশ্লীল
অতএব এসবই ছাড়তে হবে


চোখ বলছে এবার ত্যাগ করো লেখাজোকা,তুলে নাও কলম।
যেভাবে সন্ধ্যা নামলে চাষীরা তুলে রাখে হাল;
গ্রাফিক্সের পাতা থেকে চোখ সরিয়ে চোখ রাখো কচি কোমল সবুজ ঘাসে,সহনীয় ওয়েভলেন্থে।
মোটেও তাকিও না জবাকুসুম সুর্যের দিকে;
বরং প্রাণায়াম শেষে গোপনে সেরে নাও সূর্য প্রণাম।
ই সি জি রিপোর্টই বলে দিচ্ছে গোধূলির মাকালু ও এভারেস্ট পাশাপাশি দুই নিবিড় মায়া!


সুতরাং ভেতরের আওয়াজে আওয়াজ মেলাও;
ছাড়ো,পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ ও পান্তাভাত---
আমানির নেশাও নাকি কি নিদারুণ,তীব্র এক নেশা!
তাই এক এক করে সব ছেড়ে দাও।


যদিও মরণকে ছাড়িতে চাইলে মরণ কখনো ছাড়েনা মানুষে
ঠিক যেভাবে প্রিয়া আমাকে আজও ছাড়তে পারে না।