পাখিজীবন(08-12-2019)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
যেদিন কাছের বাড়ির প্রাণবন্ত ফুটফুটে টুনটুনি ফুরুৎ হয়ে গেলো
সারা পাড়া জুড়ে একটাই চর্চার বিষয়
ছিঃ ছিঃ,এমন কেউ করে!মা-বাবার মুখে চুনকালি
আমাদের মেয়েরা এদের দেখে কি শিখবে


অথচ দিঘল রমাদির দীর্ঘ রাস্তায় কখনও চোনাও দেখিনি
বরং মাসকারা টানা স্বপ্নালু চোখ পুত গঙ্গার মতো স্বচ্ছ ও স্থির  
বেশ হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল
আর সঙ্গী টুনটুনিটিও এক আকাশ পৌরুষ মুখে দিব্বি সংসারী


আজ বিশ্বাসদের শালিকটিও ফুরুৎ হয়েছে
সেই একই আলোচনা,ছিঃ ছিক্কার
'ধিঙ্গিপনায় নাকি বোঝা যেতো এমনই করবে'
বাড়িতে শাসন শিথিল হলে যা যা হয় তারই নজির


রমাদিকে খুব ভালো লাগতো,এমনকি বিশ্বাসদের শালিকটিও ছিলো খুব মিষ্টি
রাস্তায় দেখা হলেই ভাই সুলভ স্নেহে স্মিতহাস্যে জানতে চায় কেমন আছি
পাড়ার খবরাখবর,কে কেমন আছে
এখন সাহাদের পুকুরে পদ্ম ফোটে কিনা,দাসেদের গোলাপ বাগান কতোটা উর্বরা
কোই কখনও তো মনে হয়নি খারাপ পল্লীর মেয়েদের মতো মেয়েটি নোংরা
বরং মনে হয় জীবন সংগ্রামে ভেসে যাওয়া খরস্রোতা মন্দাকিনী
আজও ছুটে চলে মন্দাক্রান্তা তালে  


আসলে আমরাই হেডস্যার সুলভ সমাজ বড্ড ভালোবাসি
কখনও ভাবিনা ওড়ার স্বাধীনতা পাখির নিজস্ব
দুঃখের সরণি বেয়ে মহাকালের পথে যার উত্তোরণ