জীবন  (11- 03- 2017)
রণজিৎ মাইতি


গঙ্গার পাড়ে আমি,  
মানসী আমার কাছে বসে।
নদীর প্রবাহ দেখে --
গোধূলির রং মেখে --
কেটে গেলো অনেক সময়।


এত কাছাকাছি আছি
তবু আমরা উদাসী বাউল।


একটা কচুরিপানা ভাসতে ভাসতে
কোথায় চলে যাচ্ছে কে জানে।
ওর চোখ ওখানেই স্হির।
আমি তখন সূর্যাস্তের রং দেখছি বিভোর হয়ে।
দুজন দুজনের চোখে চোখ রেখেছি কি?
মনে পড়ছে না।
হাতে হাত রাখিনি কখনো,
কপালেও  চুম্বন করিনি।
ওর স্নেহচিকন স্তন বা নিটোল উরুতে
স্পর্শের অবসর পাইনি।


ও দেখছে কচুরিপানার হারিয়ে যাওয়া,
আমি চিনছি পড়ন্ত বিকেলের নানান রঙ।


দুজনের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব ছিলো।
যেটুকু তা জানি আমাদের নশ্বরতায়
একাকার হবে।


তাই কথা বলার কোন ইচ্ছে জাগেনি।


কখন অন্ধকার ঘনিয়েছে খেয়াল করিনি,
টনক নড়লো যখন
দুজনে নির্বাক উঠে পড়লাম।


বাড়ির পথে যেখানে পথ দুদিকে ভাগ হয়েছে
একটু থামলাম।
আমি বললাম এক জীবনে কত রঙ্ তাই না!
মানসী এবার আমার চোখে চোখ রাখলো,
এই অন্ধকারের মধ্যেও
একটা রঙ্ আমি ঠিকই চিনতে পেরেছি।
বিবর্ণ তো নয়ই, অতি উজ্জ্বল চকচকে।
ও শুধু বললো,অর্কপ্রভ
ঐ শৈবালটা দেখেছো?