পুনর্জন্ম
রণজিৎ মাইতি
--------------------
শখ করে কখনও রসুইখানায় ঢুকলে-
তুলি মনে করিয়ে দিতো গাওয়া ঘি এর কথা;
কচি পাঁঠা কিংবা এঁচড় নাকি কবিতা হয়ে ওঠে খাঁটি স্নেহে!


আমার অবুঝ গরমমশলা রসনাও বুঝতো না,বা বুঝতে চাইতো না
তত্ত্ব ও সত্যের সুক্ষ তফাৎ


তাই উড়নচণ্ডী পা-জোড়া কোথাও বেরোলে-
পরিপাটি সাজ পোশাকের উপর ঢেলে দিতাম বোতল ভর্তি আতর।
ওর ভাবনায় বিনা গ্রুমিংএ কবিতা নিরস,
স্মার্ট হতে গেলে হাতে থাকতেই হবে স্মার্টফোন।
এটাই নাকি কবিতার যুগধর্ম!


তাই আমিও ঘি ঢেলে হাতা খুন্তি ও কড়াইয়ের উপর থেকে সরাই জমে থাকা মেঘের পরত;বজ্র ও বজ্রনাদ।
ঝলমলে রোদ্দুরে সারি আতরস্নান,
অথবা বেছে নিই নির্মেঘ একান্নবর্তী হৃদ-জোৎস্নার তৃষ্ণার্ত চকোর জীবন।


যদিও ভেতরে ভেতরে
হাততালি হয়ে ওঠে কি নিদারুণ!
কারণ সত্য নিজেই এক দীর্ঘ সরস কবিতা;
কবিতার গর্ভে তার পুনঃর্জন্ম লাভ ।