শ্রীমান অভাগা
রণজিৎ মাইতি
--------------
সত্যি বলছি--
সরকার আমাকে দুর্ভাগাশ্রী দিয়েছিলো,
আমার বৌকেও দিয়েছিলো অভাগাশ্রী


এবং


আমার বারো বছরের যে কন্যারত্নটি
তাকেও দিয়েছিলো অভাগীশ্রী।


এছাড়াও
নেই নেই করে--


আমার বিধবা মা পেয়েছিলো করকরে পাঁচ পাঁচশো টাকা বিধবাভাতা।


সত্যি বলছি--
এত্তোসব পাওয়ার পরও আমাদের বাগানে  ফুটলো না একটাও গোলাপ;
ফুটলো না স্থলপদ্ম কিংবা জংলী পুটুস!


বরং দিন দিন--


হতশ্রী চেহারাটাই হয়ে উঠলো প্রকট,
এই নদী জীবনে---
'শ্রীমান অভাগা' নামটিই জড়িয়ে গেলো আষ্টেপৃষ্টে!


কারণ,--


এইসব পাওয়ার পরপরই গ্যাসের দাম গেলো বেড়ে,
মাছ-মাংস-সবজির বাজার অগ্নিমূল্য,
মশলার বাজারেও আগুন।


তবু,--


সবকিছু দিয়ে থুয়ে যেটুকু হাতে ছিলো
সেটুকুও নিয়ে গেলো পাড়ার ছেলেরা
ঐ সম্মেলনের নাম করে।


সত্যি বলছি--
ওই ছেলেরা ছিলো রুলিং পার্টির সদস্য,
এই ছেলেরাও আমার মতো এক একটি 'শ্রীমান অভাগা'!