সুখ দুঃখের পাণ্ডুলিপি(16-03-2019)
রণজিৎ মাইতি
-------------
রক্ত নাও মাংস নাও;এমনকি আমার অস্থিমজ্জাও নাও কেটে কেটে
অকাতরে দিতে পারি জীবিকার্জিত সমস্ত সম্পদ


এই কারনে ধর্মপুত্র ভেবে ভুল করেছেন কি মরেছেন
অবশ্য আমিও জীবনদাবায় বাজি ধরি নির্দ্বিধায়  
নির্বিবাদে বিলিয়ে দিই হেরে যাওয়া দান
আসলে আমার রক্তে আমারই কায়েম
হাড় মাস,এমনকি প্রতিটি কেশাগ্রও


আমি কি তুলে দিতে পারি স্ত্রীকে অন্যের হাতে ?
অথবা আমার প্রাণপ্রিয় রোদসীকে !
হে ধর্মরাজ,এই বিশ্ব চরাচরের অতন্দ্র প্রহরী
আপনিই এর বিধান করুন


ছাপোষা নিরীহ আমি,প্রান্তিক মানুষ
দানবীর রাজা বলী অথবা দাতাকর্ণ নই
অপত্য আমার কাছ প্রিয়,প্রাণাধিক  
পারি কি রামচন্দ্রের মতো আপন পত্নীকে স্বহাপতির কাছে ঠেলে দিতে  ?
স্বজনে দান ও আত্মাহুতি সম্পূর্ণ সমার্থক


আসলে সম্পর্কের বেড়াজালে এ জীবনকাব্য আজও আবর্তিত
পাণ্ডুলিপি ভরে গেছে গোপন কবিতায়
দুঃখের ফল্গুধারা একান্ত আমার
সুখের আকাশগঙ্গা ভাগ করি সবার মাঝেই


কলকল শব্দে বয় আনন্দ লহরী
অমর প্রেমের তীর্থে শিরস্ক স্বরূপ
চুমো এঁকে দিই বারবার সন্তানের কপালে কপোলে
ভালো হোক মন্দ হোক;সে আমার কবিতার খাতা
রোজ রোজ ধুলো মুছি পরম আদরে


আমি বাজি হারা নাগরিক
তাই হৃদয় উজাড় করে বলি
সব নাও দিতে পারি;অর্জিত সম্পদ একে একে
রক্ত নাও শেষ বিন্দু,মাংস নাও মজ্জা নাও
অকৃপণ দিয়ে দেব অন্তিম শ্বাস


শুধুই পারিনা দিতে স্ত্রী ও সন্তানে
আমার প্রিয় কবিতার খাতা আজও এরাই
সুখ দুঃখের পাণ্ডুলিপি;আমার হৃৎপিণ্ড
বলো পাণ্ডুলিপি ও হৃৎপিণ্ড কি সমার্থক নয় ?


হে ধর্মনন্দন,ক্ষমা চাই দীপ্ত অহঙ্কারে
আসলে তুমি যা যা পারো আমি তা পারিনা