[রচনা কাল বাংলা 1404 সাল,আষাঢ়  03 রা তারিখ]
               
শ্রমিক ঝরিয়ে ঘাম না পায় দাম,
সিংহ ভাগ যায় তদারকের পকেটে,
যার যেমন কাজ সে তেমন করে,
তবু বিরিয়ানি খায় কেহ,খায় কেউ ফেন চেটে!
আবার কেউ কাঁদে ক্ষুদার শোকে।
তবে দেশদ্রোহী কে?


সরকারী লেবেল সেঁটে পুলিশ নেয় ধন লুটে,
চোর যখন সিঁদ কাটে ওরা ঘুষের থালা জিভে চাটে,
গৃহী মানুষ বিচার চাইতে
শুধু কাগজ ভরায় লিখে।
তবে দেশদ্রোহী কে?


টেবিলে ফাইলের পাহাড় গজায় উৎকোচ না পেলে,
বেয়ারা থেকে পাহারাদার সবাই ভাগের প্রসাদ গিলে!
সাধারণ মানুষ হয়রানি পায়,
সরকার ঘুমায় জেগে।
তবে দেশদ্রোহী কে?


বাজেট হলে সবার আগে ধনী ভর্তুকি পায় প্লেনে,
হসপিটাল যায় রোগের জ্বালায় ব্লাকে টিকিট কেনে
গরীব চাপে ট্রেনে।
সুখ ভোগ খায় ধনী লোকে
গরীব ঋণের বোঝায় ঝোঁকে!
তবে দেশদ্রোহী কে?


মন্ত্রী মশাইর কেলেঙ্কারির বিচার হয় পেনশনে,
তাদের ভোট দিয়ে কে জিতবে ভোটার থাকে টেনশনে!
ওরা জঙ্গী সাজিয়ে কিছু লোকে
শ্রীখণ্ডি করে রাখে।
তবে দেশদ্রোহী কে?


খুন করে খুনি বেড়ায় ঘুরে শুধু কাগজে হয় তদন্ত,
মন্ত্রী,নেতার হুমকি পেয়ে বিচার হয় ক্ষান্ত!
ওরা মিথ্যা প্রবঞ্চনা দিয়ে
দুষ্কর্মে ঢাকে।
তবে দেশদ্রোহী কে?


দেশ রক্ষার সৈনিক হতে উৎকোচ লাগে অর্থ,
জ্যান্ত পোড়ায় দেশ প্রেম,যুব সমাজের হলে আশা ব্যর্থ।
ওরা মীরজাফর তৈরি করে
ছুরি বসায় মায়ের বুকে।
তবে দেশদ্রোহী কে?


অসুখ করলে হাসপাতলে যেতে মানুষ করে ভয়,
ডাক্তার নেই তাই নার্স ঘুমায় রোগী কষ্ট পায়!
মোটা টাকার লোভে ডাক্তার বাবু
নার্সিং হোমে থাকে।
তবে দেশদ্রোহী কে?


দুঃখীর ঘরে হাঁস মুরগী যদি পাড়ে ডিম,
টাক্স বসাবে তাই হিসেব নিতে সরকার বসায় টিম।
মস্ত লোকে মাস্তি করতে হোটেলে ওড়ায় টাকা
কেবল দুঃখ দুঃখির ভাগে!
তবে দেশদ্রোহী কে?


গুণীর সমাদর হয়না হেথা অবজ্ঞা,ঘৃণায় যায় মান,
ভেকধারীরা দান করে শেষে মরণোত্তর সন্মান।
টাকায় কিনে নির্গুণে
বেচায় হাটে গুণকে!
বলুন তবে দেশদ্রোহী কে?
               --------  রঞ্জন  গিরি।