আমি ডিগ্রিধারী ডাক্তার!
মোর নেই কোন নিস্তার,
চিকিৎসালয় খুলে বসে
আমি ব্যবসা করি বিস্তার।


মুখে ক্ষীর অন্তর গরল,
ঠকাই লোক পেলে সরল;
লোকে বলে আমি নাকি
এ বিশ্বে এক জন্তু বিরল।


ডরাই লোকে সামান্য রোগে,
তাতেই তাঁরা চিন্তায় ভোগে;
থালা বাটি ঘটি বন্দক রেখে
প্রাণ ভিক্ষাযে আমায় মাগে।


এলি তেলি সব ঔষধ লিখি,
আমি দস্তরিটা ভালোই রাখি;
রুগীর কি হাল তাতেবা কি
আমি টাকা লুটতে ফন্দি আঁকি।


অ্যাম্বুলেন্স চালকের হাত ধরি,
ব্যবসাটা অনেক বৃদ্ধি করি ;
সামান্য কিছু টাকা দিয়ে ওঁদের
রুগী খুঁজতে পাঠাই বাড়ি বাড়ি।


প্যাথলজীক্যাল ল্যাবরেটরি,
লাভের কোন জুড়ি নাই তারি;
দ্বিধাহীন ভাবে করি রক্ত পরীক্ষা
আধা আধায় লাভটা ভাগ করি।


দালাল পুষি সব বাইরে ঘরে,
ভালো দস্তরি ভাগ দেই তাঁরে;
বাড়ি বাড়ি পাঠাই প্রসূতির জন্য
খপ্পরে ঢুকিয়ে দেই সিজার করে।


লাভে মল মূত্রে করি কূলাকূলি,
আর দাবাই খানায় করি ঢলাঢলি;
ভরি পকেট শুধু টাকায় টাকা
সরল গরীবের পকেট করে খালি।


আমার মতো সব মানুষ পিশাচ,
দেখতে লাগে সাদা ধপধপে কাঁচ;
জেনো মুখ দেখালে কাটবো গলা
হুল ফুটিয়ে করাবো পাগল নাচ।


একশো টাকায় যে কাজ হবে,
আমার কাছে হাজার যাবে;
মরে যাবে তুমি আঁত শুকিয়ে
আয়ুটাও তোমার ডাক্তার খাবে।


তবে আমার মতো নয়তো সবে,
তাহলে এই পৃথিবী ধূলিসাৎ হবে;
মানবিক মুখ এখনো বেঁচে আছে
সরকারী হাসপাতলে সবে স্নেহ পাবে।


দালাল না ধরে তুমি নিজে যাও,
কভু বন্দক না দিয়ে বেচে খাও;
তবে তোমরা বাঁচবে  দুদিন
কিছুটা যদি মোর থেকে নিস্তার পাও।
             -------- রঞ্জন গিরি।