কাঞ্জিলালের বিল পুকুরে,
স্নান করি ভর দুপুরে !
যখন কেউ না থাকে ঘাটে,
স্নানের ছুতোয় আসি বটে।
আসলে আমার মাছের নেশা,
তাইতো লুকিয়ে ঘাটে আসা।
কাঞ্জিলাল করে চিংড়া চাষ,
সেতো চুরি যায় বারো মাস।
আসল চোর আমি নিজে,
ভাল হাত সাফাইর কাজে।
করি কি আমি যে বেকার,
না কেঊ দেয় পয়সা ধার।
বাবা মায়ের বকুনি ভীষণ,
বেকার হয়ে থাকি চিকন।
টাকা পায় ছেলে কোথা,
বাবার তাই মনে ব্যাথা!
কারণ টাতো আছে বটে!
প্রেমের পরশ জেগে ওঠে।
কাঞ্জির মেয়ে আমার মেম,
লুকিয়ে করে আমায় প্রেম।
তাইতো চাক-চিকন নেশা,
চুরিতে আমার হলো পেশা।
নেতার করি পেয়াদা গিরি,
নির্দোষে সদাই মারি ধরি।
তাতেই  কিছু আসে হাতে,
মদ্যপানে খরচ করি রাতে।
বেশতো কেটে ছিল দিনটা,
এতেই ভালো ছিল মনটা।
হঠাৎ খালি মেঘে বজ্রপাত,
মাছ চুরিতে হই চিৎপাত।
টানছি জাল মাঝ পুকুরে,
বাপ মেয়ে ফেললে ধরে।
দেখে আমি যে হরলাল,
কপালে চোখ বেসামাল।
মেম আমায় ফেললো দেখে।
তাই হবু শশুর বসলো বেঁকে।
আমার না হবে আরতো বিয়ে,
ধরিয়ে দিল তাঁরা পুলিশ দিয়ে।
জেলে বসে আমি কেঁদে মরি,
ভাবি এখন কেন করলাম চুরি।
না পেলাম কউকে আমার পাশে,
সব দাদা যে এখন বেঁকে বসে।
জীবন থাকতে আর কোনদিন,
বাড়াবোনা আমি পাপের ঋণ।
             --------- রঞ্জন গিরি।