দাদা দিদির
গদির চিন্তা,
মজদুরের
চাই পান্তা।
কালোবাজারি
খুঁজে ধান্দা।
দাদা দিদিরে
বানায় বান্দা।
গদি বাঁচাতে
লাগলে ধন,
কালোবাজারি
আপনজন।
ডান, বাম
পায়ে হেঁটে,
ভান দেখায়
পথে ঘাটে।
যেথায় সেথায়
শুয়ে পড়ে,
বন্ধ ডাকে
জোর করে।
গরীব দরদী
সবাই বলে,
কেউ ঢুকেনা
গরীব হেঁসেলে।
বাজার আগুন
টেঁক পুড়ে,
শ্রমিক খাটে
জলের দরে।
পিয়াজের ঝাঁঝ
সইতে পারে,
দামের গুঁতোয়
নয়ন ঝরে।
পান্তা খেঁকোর
লঙ্কার দাম,
পিলে চমকে
মাথায় ঘাম।
ওঁদের বকবক
বকুনি সার,
প্রতিবাদী
খায় মার।
ভোটের নেশায়
ঘোঁত পাকায়,
চুরির টাকা
দেনা চাপায়।
ভোট আসতে
দানসাগর,
শিলান্যাস
হয় পর পর,
পাথরটা কেনা
দেশের ক্ষতি,
কাজ হবেনা
এক রতি।
তারপর আর
পর নাই,
দোষ চাপাচাপি
খেই খাই।
গরীবের জন্য
দরদ কত!
চোখের জলে
নেতা হত।
লাগাম ছাড়া
নিত্য বাজার,
মধ্যবিত্তের প্রাণ
যাওয়ার জোগাড়।
চোখ ভালো
আঁধার দেখে
সভায় কাঁদে
জন দুখে।
ওঁরা চরণে রবে
ওগো দাদা দিদি!
হেঁসেল আগুন
নিভাও যদি।
    ------ রঞ্জন গিরি।