যে দীপ জ্বেলেছো যতনে
তমসা ঘূচাইবার লাগি,
সে দীপ শিখায় পুড়িয়া অঙ্গ
হইলে যে তুমি ইহত্যাগী।


বোঝোনি আকাশ মেঘলা ছিল
ভেবেছিলে অমাবস্যার রাত,
হটাৎ কু-ঝটিকা প্রবাহিত হয়ে
তোমায় হাণিল যে আঘাত ।
আলো দিতে সহসা আসিয়া
আঁধার হইল নিজ বরাত।
সে আঁধার আর কাটিল না হায়
জীবন হইল রোশনা বিবাগী!
                সে দীপ শিখায় পুড়িয়া অঙ্গ
                     হইলে তুমি যে ইহত্যাগী।


তুমি এসেছিলে সুখ দিতে
তোমার এই নিকৃষ্ট সন্তানে,
সুখ খানি মোর অসুখ হয়ে
আঁখি জল ঝরে তব বিহনে।
বাজে বোধনে বিসর্জনের ঢাক
অন্তর কাঁদে আজ তব লাগি!
                সে দীপ শিখায় পুড়িয়া অঙ্গ
                       হইলে তুমি যে ইহত্যাগী।
                       ---------- রঞ্জন গিরি।
[পিতা-মাতা সব সময় চায় তাঁর সন্তান ভালো থাকুক সুস্থ্য থাকুক, পিতা কাইত পরিশ্রম করে তাঁর সন্তান সন্ততিদের
ভালো রাখার জন্য। যখন তাঁর সন্তানেরা পেরে উঠে বা রোজগার করতে পারে বা সুখের মুখ দেখে তখন তাঁর পিতা সেই সন্তানের আলোর ধারায় আওলাকিত হওয়ার আগে  দেহত্যাগ করেন। তখন তাঁর ছেলের কেমন অবস্থা হয় তা অনুভব নিশ্চই করা যায়। এই কবিতা এমনই এক চরিত্র । ]