আমরা পিছুটান হীন পবিত্র
পারমাণবিক বোম্ব,
আমরা শ্রীর শিরচ্ছেদ করিনা-
কদর্য্যে কার্পন্যতা করি।
তোমরা তোমাদের ভাষায় বলতেই
পার,পারমাণবিক আবার পবিত্র!
হ্যাঁ, তোমরা পদবীটার আতঙ্কে
আঁতকে ওঠ ঠিকই কিন্তু আমরা
পাপী নই,পবিত্র!পাষন্ড তোমরাই......
খলরাই কেবল খেলনা ভাবে।


সত্যিই কি তোমরা আমাদের-
শক্তির সমন্ধে সন্দিহান প্রকাশ করো?
তোমরা জেনো----
আমরা শক্তির দ্বারা সমন্বয়ের স্বস্তি
ফেরাতে পারি, তমসা ঘুচিয়ে মোরা
আলোয় আলোকিত করে বিমুগ্ধ
করতে পারি বিশ্বময়।
চাঁদ, শুক্র থেকে সূর্য্য পাড়ি দিয়ে
ব্রহ্মাণ্ডের বিস্ময় বিবরণ এনে দিতে
পারি,যেটা তোমরা পার না।......
আসলে তোমরা গড়তে শেখনি;
আমাদের দিয়ে ভাঙনের ভাঙড়া
নেচে শুধু ভাঙতে শিখেছ।
এমনিতে আমরা আমরণ শান্ত,
আমরা কাপুরুষ নই, ক্লান্তিতে--
কালসিটে পড়বো তোমাদের মতো।


তোমাদের হীনমন্যতার হিংসায়
আমাদের আত্মবলিদান দিতে বলো-
ভুল বুঝিয়ে......
লাবণ্য লোভী তোমরা,নিজ আত্মীয়ের
আত্মাকে কেড়ে নিতে চাও;সামান্যতম
স্বার্থের জন্য........
আমাদের আতিথেয়তা ব্যবহার করে?
তাই আত্মস্থ করতে শিখাও হিংসা?
যদি নাই হয়, তবে কেন আমাদের
বেঁধে রেখেছ সারিবদ্ধ সারমেয়র মতো?
কিন্তু একদিন বুঝতে পারবে--
আমরা কে!


তখন সেদিন খুব দেরি হয়ে যাবে--
তোমরা বাস্তবটা বোঝার আগে
আমরা এক সাথে এক্যবদ্ধ ভাবে,
রশ্মি ছিঁড়ে রক্তাক্ত করে দেব, রাঙ্গিয়ে
দেব পৃথিবীর মাটি!
কৃপণতার ভালবাসা ভাগ হয়ে যাবে-
অসংখ্য টুকরোতে,আঃ!বলার আকৃতি
থাকবে না।
ধূর্জটির ধর্ম, আল্লার নামে আলখাল্লা
পরলেও টুকরো মাংস গুলো জোড়া
লাগবেনা।আর কিছু শিয়ানা শেয়াল
মর্তের গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে-
কুম্ভীরাশ্রু বার করে তোমাদের দেহের
মাংসের টুকরো গুলো লুকিয়ে লুকিয়ে
টুক টুক করে ভক্ষণ করে বলবে
আঃ! কি শান্তি পেলাম।
আর যদি কেউ বেঁচে থাকে ইতিহাস লিখে
বলবে--তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!
                       --------- রঞ্জন গিরি।