এ কেমন উষ্ণতা দাও,কাটলে আঁধার ঘাম ঝরে,
অতিষ্ঠ হয় শিষ্ট তোমার,লুটায় দেহ তোমার পরে।
দখিনা বায়ু শীতল করে,তোমার দেওয়া অঙ্গনে,
জুড়ায় তনু কুড়াই শান্তি,এই ভূ-ধরের ওই প্রাঙ্গণে।


এ কেমন ভাবনা তোমার, মত্ত ধরায় বজ্র গানে,
সৌদামিনীর ঝলকানি,চেয়ে দেখি আকাশ পানে।
খেজুর পাতা ঝরঝরে বায়,পড়লে বরষ টুপটুপে,
ধরণী ধর বারিতে বারিতে,লাগে বড়ো ধপধোপে।


এ কেমন ইচ্ছে তোমার, শরৎ এলেই শিশির খুঁজি,
অবনী তখন নবনী খায়, নবান্ন হয় লক্ষী পূজি।
ঝাঁকে ঝাঁকে পায়রা বসে, সর্ষে ক্ষেতের মাঝ খানে,
কাকতাড়ুয়া তাড়ায় তাদের,ভুতুড়ে ধ্বনি ক্ষণে ক্ষণে।


এ কেমন সৃজন তোমার, পৌষ এলে কাঁপুনি ধরে,
উত্তুরে হাওয়া থরথরে,শীতের পোশাক শরীর জুড়ে।
চাদর মুড়ে আদর করে, রবির কিরণ লাগিয়ে গায়ে,
মমতাময়ী মা যে মোদের, রাখে সদা স্নেহের ছায়ে।


এ কেমন বৈচিত্র্য তোমার,পুলক জাগে সবার মনে,
বসন্ত বয় হৃদয়ে সবার,সেযে ঋতু রাজের গুঞ্জনে,
ফাগুনে আগুন ছড়ায়, রং হোলিতে মন মাতে,
কৃষ্ণ চূড়ার ফুলের তোড়া, হৃদয় দিয়ে হৃদয় গাঁথে।
                           -------- রঞ্জন গিরি।